সোমবার, ১১ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৪৭ পূর্বাহ্ন
কিশোরগঞ্জ শহরের অসহনীয় যানজট অতিষ্ঠ করে তুলেছে শহরবাসীসহ সর্বস্তরের জনসাধারণকে। ইদানিংকালে সকাল ১০টা কিংবা ১১টা থেকে সন্ধ্যা অবধি মূল শহরের প্রধান প্রধান সড়কগুলোতে এমন যানজটের সৃষ্টি হয় যে, পায়ে হেঁটে চলাফেরাও মুশকিল হয়ে দাঁড়ায়। এছাড়াও যানজটের কারণে ঘণ্টার পর ঘণ্টা স্থবির হয়ে থাকা ব্যপক জনসমাগম ও ভিড় অনেকাংশে স্বাস্থ ঝুঁকির সৃষ্টি করছে।
সরেজমিনে পর্যবেক্ষণ করে যানজটের বেশ কয়েকটি কারন উদঘাটন করা হয়েছে। যেমন-
প্রথমত: শহরের ট্রাফিকিং ব্যবস্থায় অবহেলা ও গাফলতি দেখা যায়। শহরের যেসব স্থানে বা মোড়ে ট্রাফিক পুলিশ প্রয়োজন তার চেয়ে অর্ধেক সংখ্যক স্থানে ট্রাফিক পুলিশ পাওয়া যায় এবং বাকী অর্ধেক সংখ্যক স্থানে ট্রাফিক প্রশাসন অনুপস্থিত থাকে কিন্তু ট্রাফিক পুলিশ কর্তৃপক্ষের জনবলের কোন কমতি নেই।
দ্বিতীয়ত: শহরের মূল সড়কগুলোর উপর অবৈধভাবে গড়ে ওঠা অটোরিক্সার স্ট্যান্ড যেমন, আখড়াবাজার মোড়, কালীবাড়ি মোড়, একরামপুর মোড়, আঠার বাড়ি কাছারির মোড়, মোরগমহল পৌরমার্কেটের সামনে প্রভূতি স্থানে গড়ে ওঠা অটো স্ট্যান্ডগুলো শহরের মূল সড়কগুলোতে যানজট সৃষ্টির অন্যতম কারণ। এ ব্যাপারে পৌর প্রসাশনের দৃষ্টি আকর্ষন করছি।
তৃতীয়ত: কিশোরগঞ্জ শহরের বড়বাজার ও তদসংলগ্ন এলাকায় চব্বিশ ঘন্টা পন্যবাহী ট্রাক, কার্গো ট্রাফিক নিয়ম কানুনের বালাইকে তোয়াক্কা না করে ২নং পুলিশ ফাঁড়ির নাকের ডগা দিয়ে ইচ্ছেমত শহরে ঢুকছে এবং বেড় হচ্ছে। এমনকি বাজারের সরু অলিগলিতে দাঁড়িয়ে ইচ্ছেমত পন্য উঠামানা করাচ্ছে। এতেও শহরের যানজট সৃষ্টি হয়। কিন্তু এসব পন্যবাহী ট্রাক শহওে ঢুকার এবং বের হওয়ার ক্ষেত্রে একটি আইনী সময়সূচী রয়েছে।
তাই অনতিবিলম্বে এই অসহনীয় যানজটের দুর্ভোগ থেকে শহরবাসীকে স্বস্তি দিতে কিশোরগঞ্জের পৌর প্রশাসন, ট্রাফিক প্রশাসনসহ সর্বস্তরের যথাযথ ও উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের উদ্যোগ বিশেষ অপরিহার্য বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
শাফায়েত জামিল রাজীব
প্রধান সম্পাদক
একুশে টাইমটস্ বিডিডটকম