বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:২৬ অপরাহ্ন

ঝালকাঠিতে লঞ্চে অগ্নিকান্ডের সেই রাতে স্থানীয় নারী উদ্ধারকর্মী  অন্যের শিশু সন্তানকে বাঁচানো শিরিন বেগমকে সেলাই মেশিন উপহার

ঝালকাঠিতে লঞ্চে অগ্নিকান্ডের সেই রাতে স্থানীয় নারী উদ্ধারকর্মী  অন্যের শিশু সন্তানকে বাঁচানো শিরিন বেগমকে সেলাই মেশিন উপহার

ঝালকাঠি প্রতিনিধি:
ঝালকাঠিতে লঞ্চে অগ্নিকান্ডের বিভীষিকাময় সেই রাতে স্থানীয় নারী উদ্ধারকর্মী নিজের দুধ খাইয়ে অন্যের শিশু সন্তাকে বাঁচানো শিরিন বেগমকে সম্মাননা উপহার দেয়া হয়েছে। বুধবার সকালে বিকালে লঞ্চে আগ্নিকান্ডের ঘটনাস্থল দিয়াকুল গ্রামের শিরিন বেগমের বাড়িতে উপহার নিয়ে আসেন ছাত্রলীর নেতা কর্মীরা। শিল্প মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও সাবেক শিল্প ও খাদ্য মন্ত্রী কেন্দ্রীয় ১৪ দলের সমন্বয়ক ও মুখপাত্র আমির হোসেন আমু এমপি মহোদয় ও তার কন্যা ব্যারিষ্টার সুমাইয়া অদিথি পক্ষ্য থেকে শিরিন বেগমকে একটি সেলাই মেশিন, বাচ্চাদের শিক্ষা উপকরণ দেয়া হয়। এসব উপহার তার হাতে তুলে দেন জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শুভাশীষ সেন গুপ্ত, সাবেক সাহিত্য সম্পাদক মোঃ রাশেদ খান ও খোকন হালদার।

লঞ্চে আগ্নিকান্ডের ঘটনাস্থল দিয়াকুল গ্রামের নারী শিরিন বেগম বিপদগ্রস্ত যাত্রীদের নদীর তীর থেকে বাড়ি নিয়ে সেবা সুস্থতা করে হাসপাতালে পাঠাতেও সহযোগিতা করেছেন।কোন বিনিময়ে নয়,সন্তাানের প্রতি মায়ের ভালোসার দৃষ্টান্তমূলক এ কাজের জন্য বিভিন্ন মহলের প্রশংসায় ভাসছেন এ নারী।

শুভাশীষ সেন গুপ্ত বলেন, শিরিন বেগম বিপদগ্রস্ত যাত্রীদের উদ্ধার ও সহায়তা করে মানবতার যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন তার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে আমরা এ উপহার দিয়েছি।

শিরিন বেগম বলেন,‘রাত তিনটার দিকে দিয়াকুল গ্রামের সুগন্ধা নদীতে যাত্রীদের চিৎকার ও আগুন দেখে ঘটনাস্থলে যাই।সেখানে গিয়ে দেখি আগুন থেকে বাঁচতে যাত্রীরা নদীতে ঝাঁপ দিয়ে ভেসে ভেসে তীরে আছেন। পরে তাঁদের উদ্ধার করে নদী থেকে তুলে বাড়ি নিয়ে যাই। এসময় দেখি এক মা তার ৬ থেকে ৭ মাস বয়সী সন্তানকে বাঁচাতে নদীর তীরে ছুড়ে ফেলেন। আমি শিশুটির কান্না শুনে নদী থেকে তুলে মাতৃ স্নেহে দুধ খায়িয়ে শিশুটিকে বাঁচানোর চেস্টা করেছি। কোন কিছুই পাবার আশায় নয়। এ উপহার দেয়া জন্য ধন্যবাদ জানান শিরিন বেগম। শিরিন বেগমের মতোন এলাকার লোকজন তাঁদের আহতদেরকে আশ্রয় দেন। গরম পোশাকের ব্যবস্থা করেন। তাঁদের অনেকেই দগ্ধ ছিলেন। হাত-পা ভাঙা ছিল। দ্রুত তাঁদের হাসপাতালে পাঠিয়ে চিকিৎসা করানোর প্রয়োজন ছিল। দিয়াকুল গ্রামের মানুষের সহায়তায় রাত থেকে সকাল পর্যন্ত অতন্ত প্রায় ৩০০ যাত্রী হাসপাতালে পাঠাতে সহায়তা করেছেন।

Print Friendly, PDF & Email

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © 2021
Design By Rana