মঙ্গলবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৪, ০৭:২৪ অপরাহ্ন
মধ্য যুগে বৌদ্ধধর্মগুলি পাল বংশের শাসনামলে এবং পরবর্তীকালে হিন্দু রাজবংশ সেনবংশের আমলেও এই জনপদের মানুষ সাংস্কৃতিক ভাবে নিগৃত ছিল। কেননা শাসকরা বাংলার উর্বর মাটির মোটা অংকের খাজনা নিয়ে কোষাগার ভরেছে; কিন্তু শাসনকার্য চালিয়েছে সংস্কৃত ভাষায়। আবার ক্ষমতার পালাবদলে রাজদন্ড এসে গেলো মুসলমানদের হাতে। তাদেরও রাজ দরবারের ভাষা ছিল বাংলা নয়, ফার্সি। অতপর: ইংরেজরা এসে চালু হলো ইংরেজী ভাষা। এভাবে একের পর এক, আমাদের মায়ের ভাষা বাংলা বরাবরই উপেক্ষিত হলো, লাঞ্চিত হলো। অবশেষে ’৫২র সেই রক্ত স্নাত একুশের দিনে আমরা মায়ের ভাষাকে রাষ্ট্রভাষায় প্রতিষ্ঠিত করলাম।
তাইতো বোধ হয় ভাষা তত্ত্ববিদ জ্ঞান তাপস, ড. মুহাম্মদ শহিদুল্লাহ বলেছিলেন ‘ ’৫২র ভাষা আন্দোলনটি ছিল ‘অভিজাত তন্ত্রের বিরুদ্ধে গণতন্ত্রের বিপ্লব।’ এ বিপ্লবকে স্বাগত জানিয়েছিল রাজ পথে ফুটে থাকা লাল কৃষ্ণচুড়া, শিমুল পলাশ-রক্তির বর্ণে শোভিত করেছিল বাংলার আকাশ- বাতাস।
শাফায়েত জামিল রাজীব
প্রধান সম্পাদক, একুশে টাইমস্