শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ০৮:২৭ অপরাহ্ন
এম.এ হালিম,বার্তাসম্পাদক: কিশোরগঞ্জের ভৈরবে বাতাসা পট্রিতে পারিবারিক কলহের জের ধরে ২ সন্তানের জননী তানজিলা আক্তারকে ভবনের ছাদ থেকে ফেলে হত্যা করেছে বলে স্বামী, শ্বশুড় সহ পরিবারের লোকজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া গেছে। নিহতের মরদেহের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরী করে পুলিশ মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মঙ্গলবার (২২ নভেম্বর) সকালে কিশোরগঞ্জ মর্গে প্রেরণ করেছে। হত্যাকান্ডের অভিযোগ এনে নিহতের বড় ভাই মাহমুদুল ইসলাম রাসেল বাদী হয়ে স্বামী, শ্বশুরসহ ৫ জনের নাম উল্ল্যেখসহ অজ্ঞাতনামা আরো ২/৩ জনকে আসামি করে ভৈরব থানায় ১টি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
এদিকে সোমবার রাতে হত্যাকান্ডের পর পরই স্থানীয় জনতা নিহতের স্বামী মাসুদুজ্জামান, শ্বশুড় আবুল খায়ের ও দেবর তোফাজ্জল হোসেনকে আটক করে পুলিশে সোর্পদ করেছে। নিহতের পরিবার ও স্থানীয়রা জানায়, বিগত ১০ বছর আগে ভৈরব বাজার বাতাসা পট্রির আবুল খায়ের এর পুত্র মাসুদুজ্জামানের সাথে চন্ডিবের গ্রামের মাজহারুল ইসলামের কন্যা তানজিলার পারিবারিক ভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই স্বামী, শ্বশুড়সহ পরিবারের লোকজন নানা বিষয় নিয়ে তানজিলাকে শারিরীক ও মানসিক নির্যাতন করে আসছে। গত সোমবার বিকালে তানজিলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডাক্তার দেখিয়ে বাড়ি ফিরতে দেরী হওয়ায় স্বামী ও শ্বশুড়সহ পরিবারের লোকজন তাকে শারিরীক ও মানসিক নির্যাতন করে। নির্যাতনের এক পর্যায়ে তানজিলাকে ৫ তলা ভবনের ছাদ থেকে নীচে ফেলে দেয়। পরে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ সময় মরদেহ ফেলে পালিয়ে যাবার সময় স্থানীয় জনতা স্বামী মাসুদুজ্জামান, শ্বশুড় আবুল খায়ের ও দেবর তোফাজ্জল হোসেনকে আটক করে পুলিশে সোর্পদ করে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত স্বামী মাসুদুজাজামান হত্যার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তানজিলা নিজেই ছাদ থেকে লাফিয়ে পড়েন। পরে আমরা তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে মারা যায়।
এ বিষয়ে ভৈরব থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মাকছুদুল আলম জানান, এ ঘটনায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও সুরতহাল রিপোর্ট তৈরী করে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এছাড়া নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।