শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮:৩৫ পূর্বাহ্ন

প্রত্যাশা একটি শান্তিপূর্ণ নির্বাচন

প্রত্যাশা একটি শান্তিপূর্ণ নির্বাচন

এ দেশের মানুষ শান্তিপূর্ণ ও নিরাপদ নির্বাচন চায়। শান্তিপূর্ণ পরিবেশে রাজনীতি করার অধিকার সবার আছে।
শান্তিপূর্ণ নির্বাচন আয়োজনে সব ধরনের সহযোগিতা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি রয়েছে সরকারের পক্ষ থেকেও। অবাধ, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন সবার প্রত্যাশা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের জনগণকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে আওয়ামী লীগ শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চায়। সেপ্টেম্বর-অক্টোবর থেকে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের শক্তিসহ সব শক্তিকে নিয়ে আগামী নির্বাচনে বিজয়ের লক্ষ্যে অভিযাত্রা করবে, গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে সবাই জানতে পেরেছি।

আমাদের দেশের রাজনীতিতে যতদিন পর্যন্ত সুস্থ ধারা ফিরে না আসবে, ততদিন বিদেশিদের অযথা নাক গলানোর প্রবণতাও দূর হবে না। এটা আমাদের অভ্যন্তরীণ রাজনীতির বড় দুর্বলতা যে, আমরা নিজেদের নাক কেটেও পরের যাত্রা ভঙ্গ করতে চাই। রাজনীতিবিদরা নিজেরা নিজেদের শুধরে না নিলে বাইরের লোকেরা কান কথা বলতে পারবে, তাতে ভালো কিছু হবে না। দেশের কল্যাণ হবে না। তাই দেশ, মা, মাতৃভূমি ও স্বাধীনতা সবার ওপরে, এটা যত মনে রাখবেন ততই দেশের জন্য মঙ্গল।
নানা ধরনের অনিশ্চয়তা ও আশঙ্কা থাকা সত্ত্বেও আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আমেজ পাওয়া যাচ্ছে। অনেক হতাশার মধ্যেও জাতির সামনে এক উজ্জ্বল আলোর রেখা দেখা যাচ্ছে। এরই মধ্যে বাতাসে নানা গুঞ্জনও ভেসে বেড়াচ্ছে। জনগণ সেসব গুঞ্জনে কান দিতে চান না। হতাশার কোনো কারণ দেশের শান্তিপ্রিয় জনগণ দেখতে চান না, বুঝতে চান না। চলতি বছরের শেষ দিকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে। সার্থক নির্বাচনের জন্য দরকার সব দলের ও সব মতের লোকের অংশগ্রহণ। এ ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনের ভূমিকাই মুখ্য, তবে সরকারকে অবশ্যই সহায়ক হতে হবে। মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার পর নতুন মেয়াদে নতুন সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের জন্য নির্বাচন অপরিহার্য।

কিন্তু সেই নির্বাচন কীভাবে হবে? কারা করবে? নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়ার নিশ্চয়তা থাকবে কি? না আগামী নির্বাচনও একতরফা হবে? সব দলকে নির্বাচনে আনতে প্রথমে নির্বাচন কমিশনকে নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করতে হবে। সব নাগরিক যেন তাদের ভোট তাদের পছন্দের ব্যক্তিকে স্বাধীনভাবে দিতে পারে, নির্বাচন কমিশনকে যথাযথভাবে সে দায়িত্ব পালন করতে হবে। নির্বাচন কমিশনকে আগে থেকেই বাস্তবসম্মত কর্মপরিকল্পনা করে সুষ্ঠু ও সুস্থ রাজনৈতিক পরিবেশের বিষয়টিকে নিশ্চিত করতে হবে। আলোচনার মাধ্যমে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার আস্থার সংকট দূর করতে হবে। অন্যান্য দলকেও সহযোগিতা করার জন্য এগিয়ে আসতে হবে। তবে জনগণ পছন্দসই প্রার্থীকে ভোট দেবে, সেই ক্ষেত্রটি তৈরি করার প্রধান দায়িত্ব্ কিন্তু নির্বাচন কমিশনেরই।
Print Friendly, PDF & Email

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © 2021
Design By Rana