শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৩:২৬ পূর্বাহ্ন

কিশোরগঞ্জ শহরে অসহনীয় যানজট

কিশোরগঞ্জ শহরে অসহনীয় যানজট

তীব্র যানজটে অতিষ্ট কিশোরগঞ্জবাসী। শিশু ও বয়স্করা যানজটের কারণে ফুটপাত দিয়েও হাটতে পারে না। আর জনজীবন হচ্ছে হয়রানীর শিকার ও অসস্তিতে ভুগছে।

প্রথমত: তথ‌্য ও উপাত্ত সংগ্রহ সহ সরজমিনে তদন্ত করে দেখা গেছে, কিশোরগঞ্জ শহরের প্রধান সড়কগুলোতে যানজটের অন্যতম ও প্রধান কারণ-ট্রাফিকিং ব্যববস্থাপনায় শিথিলতা এবং দায়িত্বহীনতা ও অবহেলা। এ বিষয়ে এক ধরণের গাফিলতি পরিলক্ষিত হয়। পৌরসভার ভেতরের ব্যস্ততম মোড় গুলোতে ট্রাফিক পুলিশরা নিয়মিত ডিউটি করেনা। নামে মাত্র কয়েকটি স্থানে যেমন-কালীবাড়ি মোড়, গৌরাঙ্গবাজার মোড়, একরামপুর মোড়, বটতলা মোড়, প্রভূতি স্থানে নিয়মিতভাবে ট্রাফিক পুলিশ ডিউটি করে থাকে। কিন্তু আঠারবাড়ী কাছারীমোড়, আওয়ামীলীগ অফিসের মোড়, জাহাঙ্গীরের মোড়, তেরিপট্টি, আখড়া বাজার মোড় প্রভূতি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ট্রাফিক পুলিশ খুঁজে পাওয়া যায় না। কিন্তু কিশোরগঞ্জ জেলায় প্রয়োজনের তুলনায় অতিরিক্ত ট্রাফিক পুলিশের জনবল রয়েছে।

দ্বিতীয়ত: যানজট নিরসনে পৌরকর্তৃপক্ষের দায়সারা মনোভাব পরিহার করা উচিত। শহরের মূল সড়কগুলোর বিভিন্ন মোড়ে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা অটোরিক্সার স্ট্যান্ড গুলোর জন্য যেমন- আখড়া বাজার, আঠারবাড়ী কাচারী মোড়, মোরগমহাল, বটতলা, গাইটাল প্রভূতি স্থানে যানজটের সৃষ্টি হয়। এছাড়াও স্ট্যান্ডগুলো থেকে এক শ্রেণির মানুষ আর্থিক মুনাফা নেয়। এ ব্যাপারে পৌরকর্তৃপক্ষের কোন প্রকার মনিটরিং ও মাথাব‌্যাথা নেই। আর দায়িত্বপ্রাপ্ত ট্রাফিক ইন্সপেক্টর (টি.আই) বা ট্রাফিক কর্তৃপক্ষের গাফিলতির অন্ত নেই।

তৃতীয়ত: সাম্প্রতিককালে শুধু মুল সড়ক নয়; নির্মাণ জাতীয় কাজের জন্য অলিগলিতে ইট, সিমেন্ট, বালু প্রভৃতি রেখে যানজট ও পথচারীর চলাচল বিঘ্নিত হচ্ছে।

চতুর্থত: সরকারের নির্ধারিত সময়সূচীকে তোয়াক্কা না করে, কিশোরগঞ্জ শহরের বড় বাজার ২নং পুলিশ ফাড়ির; ১০০ থেকে ১৫০ গজের ভিতর দিনরাত চব্বিশ ঘন্টা পণ্যবাহী ট্রাকের মালামাল তোলা হয় ও খালাশ করা হয়। এতে করে শহরের এক তৃতীয়াংশ এলাকায় পণ্যবাহী ট্রাকগুলোর কারণে যানজটের সৃষ্টি হয়। অনুসন্ধানে জানাগেছে- চালকেরা সরকারের নির্ধারিত সময়সূচীকে তোয়াক্কা না করে বড়বাজারস্থ পুলিশ ফাড়ি গাড়ি প্রতি নির্ধারিত উৎকোচ বা টোকেনমানি প্রদান করে নিজেদের খেয়াল খুশিমত যানজট সৃষ্টি করে।

শাফায়েত জামীল রাজিব

-সম্পাদক

একুশে টাইমস্।

Print Friendly, PDF & Email

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © 2021
Design By Rana