সামাজিক বন্ধন ও লোকলজ্জাজনিত কারণে প্রকাশ না পেলেও আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে শিশু নির্যাতনের ঘটনা। ধর্ষণ, অপহরণ ও খুনের শিকার হচ্ছে শিশুরা।
পারিবারিক বিবাদ ও পরকীয়ার প্রতিশোধের কেন্দ্র হয়ে দাঁড়াচ্ছে অবুঝ শিশুরাই। অনাকাক্সিক্ষত শারীরিক স্পর্শসহ শিশুরা পারিবারিক গণ্ডিতে ধর্ষণ ও নানা যৌন নিপীড়নের শিকার হলেও তা পরিবারের মধ্যেই মিটিয়ে ফেলা হয়। দেশের প্রায় ৮৪ শতাংশ শিশু এ ধরনের সহিংসতার শিকার হয় বলে গবেষণায় প্রকাশ। প্রতিশোধ নিতে প্রতিপক্ষের শিশুকে হত্যা করার ঘটনা বিরল নয়। ধর্ষণের কথা যাতে গোপন থাকে সেজন্য গলা টিপে হত্যা করা হয় ধর্ষণের শিকার শিশুকে।
গত বছরের ১৫ নভেম্বর নিখোঁজ হওয়া ৫ বছরের শিশুকন্যা আলিনা ইসলাম আয়াতের মা-বাবা নিখোঁজের ১০ দিন পরে জানতে পারেন তাদের মেয়েকে হত্যার পর টুকরা করে ফেলে দেওয়া হয়েছে। বেড়াতে নিয়ে যাওয়ার নাম করে প্রতিবেশী যুবক শিশু আয়াতকে অপহরণের পর ১ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। মুক্তিপণ না পেয়ে শিশুকে ধর্ষণ শেষে শ্বাসরোধে হত্যার পর লাশ বস্তাবন্দি করে বাড়ির অঙিনায় পুঁতে রাখে। রাজধানীর রায়েরবাজারে গত ৮ ডিসেম্বর পারিবারিক কলহের কারণে ৩০ বছরের মা হাসিনা বেগম তার তিন বছর ও ছয় মাস বয়সি দুই শিশুসন্তানকে হত্যা করে আত্মহত্যা করেন মা। শিশু নির্যাতনের ধরন রয়েছে বহুবিধ। শিশুর প্রতি যৌন হয়রানি ছাড়াও রয়েছে নানারূপ শারীরিক ও মানসিক সহিংসতা, শিশুবিবাহ, এবং শিশুমাতৃত্ব। ছেলেশিশুদের যৌন নিপীড়নের শিকার হওয়ার ঘটনাও বিরল নয়।