মঙ্গলবার, ১১ মার্চ ২০২৫, ০৫:২০ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার :
তাড়াইল উপজেলার একটি চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার পলাতক আসামিকে নেত্রকোনা জেলা থেকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১৪, সিপিসি-২ কিশোরগঞ্জ ক্যাম্পের একটি আভিযানিক দল।
গ্রেফতার শরীফ মিয়া (৩২) তাড়াইল উপজেলার উত্তর ধলা এলাকার মৃত সিদ্দিক মিয়ার ছেলে। তিনি ওই হত্যা মামলার ২ নম্বর এজহার ভূক্ত পলাতক আসামি ছিলেন।
শুক্রবার, ৬ অক্টোবর রাত সাড়ে ১১টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাকে নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া উপজেলা সদর থেকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার এড়াতে তিনি হত্যাকাণ্ডের পর থেকেই পালিয়ে বেড়াচ্ছিলেন।
এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিডি চ্যানেল ফোরকে বিষয়টি জানান অভিযানে নেতৃত্বদানকারী র্যাব-১৪, সিপিসি-২ কিশোরগঞ্জ ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার স্কোয়াড্রন লীডার মো. আশরাফুল কবির।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, কিশোরগঞ্জ জেলার তাড়াইল থানাধীন উত্তরধলা সাকিনস্থ জনৈক সাইদুল(৫০), পিতা-মৃত সমশের আলীর বাড়ীর পশ্চিম পাশের কাঁচা রাস্তার উপর গত ২২ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা অনুমান ৬ টার দিকে ভিকটিম হারিছ মিয়াকে জমিজমা নিয়ে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে এক নম্বর বিবাদী তাড়াইল উপজেলার উত্তর ধলা এলাকার মৃত সিদ্দিক মিয়া ছেলে মো. বাবুল মিয়া(৩৬) ও শরীফ মিয়া (৩২), সহ এজাহার নামীয় আরও ২২ জন এবং অজ্ঞাতনামা ১০/১৫ পরষ্পর যোগসাজসে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে নৃশংসভাবে হত্যা করে।
পরবর্তীতে ওই ঘটনায় ভিকটিমের ছেলে আল আমিন মিয়া(৩৮) বাদী হয়ে কিশোরগঞ্জ জেলার তাড়াইল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে।( যার কিশোরগঞ্জ জেলার তাড়াইল থানার মামলা নং-১২/১০২, তারিখ ২৩/০৯/২০২৩খ্রি. ধারা-৩০২/৩৪ পেনাল কোড ১৮৬০ দঃ বিঃ)
মামলা হওয়ার পর এজাহারনামীয় আসামিগণ গ্রেফতার এড়াতে বিভিন্ন জায়গায় পালিয়ে বেড়াচ্ছিলেন। পলাতক আসামিদের আইনের আওতায় নিয়ে আসতে র্যাব গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি করে।
পরে ওই মামলার ২ নম্বর এজহার নামীয় আসামির অবস্থান সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ করে আসামির অবস্থান নিশ্চিত করে ও গোয়েন্দা শাখার সহযোগীতায় তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে র্যাব -১৪, কিশোরগঞ্জ ক্যাম্পের একটি আভিযানিক দল তাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। মামলার অন্যান্য আসামিদের গ্রেফতারের জন্য র্যাব-১৪ এর অভিযান অব্যহত রয়েছে।
গ্রেফতারকৃত আসামির বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কিশোরগঞ্জ জেলার তাড়াইল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।