শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৩:৫৮ পূর্বাহ্ন

রাজনীতির প্রবাদ পুরুষ-সিরাজুল আলম খান (২য় পর্ব)

রাজনীতির প্রবাদ পুরুষ-সিরাজুল আলম খান (২য় পর্ব)

স্বাধীনতার পর বাহাত্তর সনের, জানুয়ারীতে-মুজিব বাহিনী ঢাকা রেসকোর্স ময়দানে বঙ্গবন্ধুর নিকট অস্ত্র সমর্পন করে। তখন মুজিব বাহিনীর পক্ষ থেকে সিরাজুল আলম খান বক্তৃতা দিতে গিয়ে বলেছিলেন- ‘আমরা গেরিলা যোদ্ধা। ‘ আমরা অস্ত্র সমর্পন করতে জানি না। আমরা প্রয়োজনবোধে অস্ত্র জমা দিতে পারি।’ ইতিহাস সাক্ষী দেয়, উনি ’৬২তে সালে হামিদুর রহমান শিক্ষানীতি বিরোধী ছাত্র আন্দোলন; ’৬৬ তে আওয়ামীলীগ প্রনীত ৬দফার আন্দোলন এবং ’৬৯ সালের ছাত্রসংগ্রাম পরিষদের ১১ দফা দাবী আদায়ের আন্দোলনের নেপথ্যে একজন সফল সংগঠন হিসেবে কাজ করেন। ১৯৭১ সালে পাক হানাদারদের বর্বরতা শুরু হলে; উনি বঙ্গবন্ধুর পূর্ব নির্দেশ মোতাবেক কলকাতায় ১০নং রাজেন্দ্র প্রাসাদ রোডের বাড়ীতে অবস্থানরত ভারতীয় কূটনৈতিক চিত্তরঞ্জন সুতাবের সাথে সাক্ষাত করে। অত:পর চিত্তরঞ্জন সুতাবের পরামর্শ ক্রমে বি.এল.এফ. সদস্যদের নিয়ে সশস্ত্র সংগ্রামে অংশ গ্রহণের জন্য মুজিব বাহিনী’ গঠন করেন এবং ভারতীয় মেজর উবানের তত্ত্বাবধানে দেরাদুন মিলিটারী একাডেমীতে গেরিলা যোদ্ধা হিসেবে ট্রেনিং গ্রহণ করেন।
কিন্তু বাহাত্তর সালে ডাকসু নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের মধ্যে দুটি উপদলের সৃষ্টি হয়। বৃহত্তর উপদলটি ছিল সিরাজুল আলম পন্থী। অন্যটি নিয়ন্ত্রণ করতেন শেখ মনির অনুসারীরা। ঐ বছরই ছাত্রলীগের সম্মেলনে উপদল দুটি পৃথক পৃথক স্থানে সম্মেলনের ব্যবস্থা করে। তখন বঙ্গবন্ধু সিরাজুল আলম খানের বিরোধী উপদলটিকে সমর্থন করে। তখন সিরাজুল আলম খানের অনুসারী আ.স.ম আব্দুর বর, কাজী আরেফ, সাজাহান সিরাজ, হাসানুল ইনু প্রমুখ নেতৃবন্দ জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) গঠন করেন এবং মেজর জলিলকে দলের সভাপতি মনোনীত করা হয়। জাসদের মূল থিম ছিল বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা। জনৈক মার্কিন সাংবাদিক বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্র সম্পর্কে সিরাজুল আলম খানের কাছে জানতে চাইলে- উনি বলেছিলেন আমরা একাত্তরে রক্তস্নাত মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীনতা অর্জন করেছি। কিন্তু অর্থনৈতিক মুক্তি আসেনি। অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য আমরা আরেকটি বিপ্লব চাই।

 

শাফায়েত জামিল রাজীব
-সম্পাদক
একুশে টাইমস্

Print Friendly, PDF & Email

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © 2021
Design By Rana