মঙ্গলবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৪, ০৭:২৩ অপরাহ্ন
উনিশ শত ত্রিশের দশকে নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসুর অনুপ্রেরণায় কমরেড মোজাফফর আহমেদ, বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম, যতীন সরকার প্রমুখ বামধারার নেতৃবৃন্দ সারাবাংলায় ‘ইয়ং কমরেডলীগ’ নামক একটি সশস্ত্র যুবসংগঠন গড়ে তুলেছিলেন। “সশস্ত্র বিপ্লবের মাধ্যমে স্বাধীনতা অর্জন-” এটি ছিল তাদের মূলমন্ত্র এবং সংগঠনটি আন্ডার গ্রাউন্ড রাজনৈতিক সংগঠন ছিল। নীলগঞ্জের কমরেড নগেন সরকার এবং কিশোরগঞ্জ শহরের বোয়ালিয়া এলাকার কৃতি সন্তান মান্যবর ওয়ালীনেওয়াজ খানের নেতৃত্বে এ মহকুমায় এটি জোরদার আন্ডারগ্রাউন্ড রাজনৈতিক সংগঠনে পরিণত হয়। শুধু তাই নং, সাম্যবাদী আদর্শেগড়া এ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ দ্রুত মহাজন-জোতদার জমিদারদের বিরুদ্ধে কৃষকদের সংগঠিত করতে শুরু করলেন- যার ফলশ্রুতিতে কটিয়াদীর মঠখোলা, পাকুন্দিয়া, জাঙ্গালিয়া এবং হোসেনপুরের গোবিন্দপুরে সুদখোর জমিদারের বিরুদ্ধে রক্তস্নাত কৃষক বিদ্রোহ শুরু হয়। তার মধ্যে সে আমলে জাঙ্গালিয়ার অত্যাচারী জমিদার কৃষ্ণপদ হত্যাকান্ডটি ছিল সারাদেশে আলোচিত বিষয়।
বৃটিশ বিরোধী স্বদেশী আন্দোলনের সময় কুলিয়ারচরের কমরেড মহারাজা ত্রিলোক্যনাথ চক্রবর্তী, তাড়াইলের কমরেড গংগেস সরকার, বিশিষ্ট সমাজ চিন্তাবিদ ও বামধারার রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব রেবতী বর্মন প্রমুখ ব্যক্তিবর্গ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন এবং তারা এই জনপদের আপামর জনসাধারণকে বৃটিশ বিরোধী স্বদেশী আন্দোলনে যুক্তকরণসহ বিলেতী পণ্য বর্জনে উদ্বৃদ্ধ করেছিলেন। উল্লেখ্য যে, মহারাজা ত্রিলোক্যনাথ চক্রবর্তী ১৯৫৪ সনে জাতীয় পরিষদের নির্বাচিত সদস্য ছিলেন।
উল্লেখিত স্বাধীনতা যোদ্ধাগণ প্রত্যেকেই বছরের পর বছর বৃটিশের কারাগারের অন্ধকার প্রকোষ্ঠে অন্তরীন অবস্থায় মানবেতর জীবন-যাপন করেছেন এবং সহ্য করেছেন পাশবিক নির্যাতন। তাই এঁদের নাম আমরা আজও শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করে থাকি।
শাফায়েত জামিল রাজীব
সম্পাদক
একুশে টাইমস্