একাত্তরের রণাঙ্গনের শেষের দিকে ১নং সেক্টরের অধিনায়কের নাম মেজর (অবঃ) রফিকুল ইসলাম। ‘৭১-এ ক্যাপ্টেন রফিক ছিলেন ইপিআর-এর চট্টগ্রাম সেক্টর এ্যাডজুটেন্ড। পরিস্থিতি আঁচ করতে পেরে-ঢাকায় পাকিস্তান সেনাবাহিনীর হত্যাযজ্ঞ শুরুর আগেই ইপিআর সদস্যদের নিয়ে চট্টগ্রামে সশস্ত্র সংগ্রাম শুরু করেছিলেন তিনি।
প্রথমে মেজর জিয়ার অধিনায়কত্বে-১নং সেক্টরে যুদ্ধ করেন ক্যাপ্টেন রফিক। জু মাসে ‘জেড ফোর্স’ গঠিত হলে, সেই সময় থেকে যুদ্ধের শেষ দিন পর্যন্ত ১নং সেক্টরের সামরিক কমান্ডের দায়িত্বভার অর্পিত হয় ক্যাপ্টেন রফিকের উপর। ৫টি সাব-সেক্টর নিয়ে গঠিত ১নং সেক্টরটির ভৌগোলিক অবস্থান ছিল চট্টগ্রাম, পার্বত্য চট্টগ্রাম ও নোয়াখালী জেলার অংশ বিশেষ, মুহুরী নদীর পূর্ব পাড় পর্যন্ত। যুদ্ধকালীন সময়ে মেজর পদে উন্নীত হন রফিকুল ইসলাম।
মেজর (অবঃ) রফিকুল ইসলাম জন্ম: ১৩ সেপ্টেম্বর, ১৯৪৩। ১৯৬৩ সালে পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে যোগ দিয়ে আর্মি ইঞ্জিনিয়ারিং কোরে কমিশন লাভ করেন। পরে তিনি আর্টলারি কোরে যোগ দেন। ১৯৭০ সালের শুরুর দিকে তিনি ডেপুটিশনে ইস্ট পাকিস্তান রাইফেলস্ -এর চট্টগ্রামস্থ হেডকোয়ার্টারে এ্যাডজুটেন্ড হিসেবে যোগ দেন। যুদ্ধের পর ‘৭২ সালের ২৯শে এপ্রিল তাকে সামরিক চাকরি থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়। পরবর্তী সময়ে তিনি ওয়াসা, হ্যান্ডলুম বোর্ড, .বি.আই.ডব্লিউ, টি.সি.সহ বিভিন্ন সংস্থায় চেয়ারম্যান পদে কর্মরত থাকেন। বিচারপতি শাহাবুদ্দিন আহমদের অস্থায়ী সরকারে উপদেষ্টার দায়িত্বও পালন করেন তিনি। ‘ তিনি লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে’ (এ টেল অব মিলিয়নস) নামের প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতাভিত্তিক মুক্তিযুদ্ধের একটি প্রামাণ্য গ্রন্থের রচয়িতা। এই বইটিতে তাঁর একাত্তরের রণাঙ্গনের যুদ্ধ ও অন্যান্য স্মৃতিকথা লিপিবদ্ধ করেছেন। ’৯৬ সনে তিনি আওয়ামীলীগ সরকারের স্বরাষ্টমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন।
শাফায়েত জামিল রাজীব
-সম্পাদক
একুশে টাইমস্