মঙ্গলবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৪, ০৭:২৩ অপরাহ্ন
ফিদেল ক্যাষ্ট্রোর ঘনিষ্ঠ সহচর ও সেকেন্ড ইন কমান্ড চে’ গুয়েভারা ’ ৫৬ থেকে ‘৫৯ সন পর্যন্ত কিউবার দখলদার বাতিস্তা সরকারের বিরুদ্ধে অস্ত্র ধরণ করেন এবং এভাবে টানা তিন বছর যুদ্ধ করার পর ‘৫৯ সনে কিউবা দখলমুক্ত করে। তখন চে’ কিউবার নাগরিকত্ব গ্রহণ করে এবং ক্যাষ্ট্রো সরকারের শিল্প মন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্ণর ছিলেন। ‘৬১ সনে কিউবার রাষ্ট্র প্রতিনিধি হিসেবে জাতি সংঘে সাধারণ পরিষদে কক্তৃতা করতে গিয়ে বলেন, ‘বিশ্ব আজ দু’ভাগে বিভক্ত। একদিকে শোষক শ্রেণী আর অন্যদিকে শোষিত মানুষ।’ আমি এই অধিবেশনে এসেছি; এই শোষিত শ্রেণীর পক্ষে কথা বলতে। আমি বলব ঐ সাম্রাজ্যবাদী শক্তির বিরুদ্ধে’। চে’গুয়েভারা মূলত মার্কিন সাম্রাজ্যবাদী শক্তির বিরুদ্ধে তাক করে কথাগুলো বলেছিলেন।
চে’গুয়েভারার মৃত্যুর পঞ্চাশ বছরের বেশি সময় পেরিয়ে গেছে, তারপরেও ক্যারিশম্যাটিক গেরিলা আজও সমানভাবে জাদুবিস্তার করে চলেছেন। যিনি মৃত্যুবরণ করেছেন এই পৃথিবীর এক দূরবর্তী নির্জন প্রান্তরে। এক সুখময় প্রেক্ষাপটের বুক থেকে উঠে এসে- পরিণত হলেন বিংশ শতাব্দীর অন্যতম এক মহান বিপ্লবী নায়কে।
তাঁর জন্ম ১৯২৮ সালে আর্জেন্টিনায়। এবং তাঁর জীবনের মোড় ঘুরে যাওয়ার বছর ১৯৫৬ সালে চে’গুয়েভারা যোগ দিয়েছিলেন- ফিদেল ক্যাষ্ট্রোর সাথে কিউবার আক্রমনের প্রশিক্ষণে। এখান থেকে তাঁর বৈপ্লবিক জীবনের অভিষেক। যদিও জীবনের প্রারম্ভে, তিনি পেশায় ছিলেন একজন চিকিৎসক।
শাফায়েত জামিল রাজীব
সম্পাদক
একুশে টাইমস্