মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:১৭ পূর্বাহ্ন

চাই শোষনহীন সমাজ ব্যবস্থা

চাই শোষনহীন সমাজ ব্যবস্থা

আজকাল মানুষের মাঝে সবচেয়ে ঘনঘন উচ্চারিত শব্দগুলো হলো- দ্রব্যমূল্যের পাগলা ঘোড়া, চাকুরী ছাঁটাই, বেকারত্ব, ক্যাশিনো বাণিজ্য, পেট্রোল বোমা, কিশোর গ্যাং, ককটেল, নাশকতা ইত্যাদি-ইত্যাদি ভয়ঙ্কর শব্দ এবং সেই সঙ্গে ক্রসফায়ার, গণগ্রেপ্তার, ধর্ষণ, বি-জাতীয় পর্ণগ্রাফী- এগুলোই এখন জনজীবনের নিত্যসহচর হয়ে উঠেছে। এক গভীর ও সর্বব্যাপী সংকটজাল, আমাদের দেশকে আজ আচ্ছন্ন করে রেখেছে। আজ যখন স্বাধীনতার তিপান্ন বছর পূর্তি উপলক্ষে, রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে কোটি কোটি টাকা ব্যায় হয়- আতশবাজি ফোটানো হয়, প্রদীপ শিখা জালানো হয়। তখন অন্যদিকে তাকিয়ে দেখি রেল স্টেশনের কিংবা বাসস্ট্যান্ডের প্লাটফর্মে অথবা রাস্তার ফুটপাতে ছেঁড়া কাঁথা মুড়িয়ে থাকা; অনাহারে-অর্ধাহারে থাকা পিতা-মাতাতুল্য বৃদ্ধ-বৃদ্ধা শীতে কষ্ট করছে।
আবার কারো কারো খাবার টেবিলে রুটি মাংসের পাহাড়-তারা অভিজাত এলাকার তথাকথিত এলিট শ্রেণি। আর তাদের বাড়িতে ফুট ফরমায়েস খাটে- যাদের স্কুলে যাওয়ার বয়স সেই গরীব কিশোর-বিশোরীদের। দু’মুঠো ভাতের জন্য সাহেব-মেমসাহেবদের লাথি খায়, ঘাড় ধাক্কা খায়।
একাত্তরের মুক্তি শুধুই আমাদেরকে রাজনৈতিক মুক্তি দিয়েছে-কিন্ত অর্থনৈতিক মুক্তি দিতে পারেনি। কারণ স্বাধীনতার পর ক্রমান্বয়ে রাষ্ট্রযন্ত্রের চাবিকাঠি, চলে গিয়েছিল কতিপয় বুর্জোয়া পূঁজিপতিদের হাতে। তাই আবারো একাত্তরের মতো একটি সশস্ত্র বিপ্লব দরকার, এই বিপ্লব হবে অর্থনৈতিক বিপ্লব। এই বিপ্লব শ্রেণীহীন-বর্ণহীন সমাজ প্রতিষ্ঠার বিপ্লব। এই মুহুর্তে আমাদের প্রয়োজন শ্রেণি সংগ্রাম-যা আমাদের সকল অসমতাকে ভেঙ্গে সমতা আনবে। এই বিপ্লবে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য খুঁজে বের করতে হবে- বঙ্গবন্ধুর মতো জীবন বাজি রাখা ও মানবতাবাদী কোন মহান নেতাকে। চাই শোষনহীন সমাজ ব্যবস্থা।

 

শাফায়েত জামিল রাজীব

-সম্পাদক,

একুশে টাইমস নিউজ মিডিয়া

Print Friendly, PDF & Email

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © 2021
Design By Rana