রবিবার, ১০ নভেম্বর ২০২৪, ০২:২৫ অপরাহ্ন
একুশে ডেস্ক:
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলের গণরুমে আলোচিত ছাত্রী নির্যাতনের ঘটনার ছয় মাসেও সুরাহা হয়নি। ফলে বিষয়টি বিভিন্ন মহলে আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। তবে শনিবার (১৫ জুলাই) বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শৃঙ্খলা কমিটির সভায় এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর।
প্রক্টর প্রফেসর ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ বলেন, শনিবার এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। বেলা ১১টায় মিটিং ডাকা হয়েছে। সভায় সভাপতিত্ব করবেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. শেখ আবদুস সালাম। উপস্থিত থাকবেন প্রো-ভিসি প্রফেসর ড. মাহবুবুর রহমান, ট্রেজারার প্রফেসর ড. আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া, ছাত্র উপদেষ্টা প্রফেসর ড. সেলিনা নাসরিন, আইন প্রশাসক প্রমুখ। সভার সিদ্ধান্ত ১৯ তারিখের মধ্যে হাইকোর্টে পাঠানো হবে।
গত ১২ জুন ছাত্র-শৃঙ্খলা কমিটির সভায় আত্মপক্ষ সমর্থন করতে ক্যাম্পাসে আসেন সাময়িক বহিষ্কার হওয়া পাঁচ ছাত্রী। কমিটির কাছে তারা তাদের বক্তব্য তুলে ধরেন। কারণ দর্শানো নোটিশের লিখিত জবাব দেওয়ার পরও কোনো বক্তব্য থাকলে তা জানতে এই বক্তব্য গ্রহণ করে কর্তৃপক্ষ। সেখানে ওই ঘটনায় ভুক্তভোগী ফুলপরী খাতুনেরও সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়।
গত ১১ ও ১২ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলের গণরুমে এক নবীন ছাত্রীকে রাতভর নির্যাতন ও বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণের অভিযোগ উঠে শাখা ছাত্রলীগ নেত্রী ও পরিসংখ্যান বিভাগের সানজিদা চৌধুরী অন্তরা, ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের তাবাসসুম ইসলাম, মোয়াবিয়া জাহান, আইন বিভাগের ইসরাত জাহান মীম ও ফাইন আর্টস বিভাগের হালিমা খাতুন উর্মীর বিরুদ্ধে।
ওই ছাত্রীর লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্ট হল, বিশ্ববিদ্যালয় ও জেলা প্রশাসন এবং শাখা ছাত্রলীগ পৃথক চারটি তদন্ত কমিটি গঠিত হয়। সব কমিটিই ঘটনার সত্যতা পায়। তদন্ত প্রতিবেদনের আলোকে হাইকোর্টের নির্দেশে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাঁচ অভিযুক্তকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়। এছাড়া হল প্রশাসনের সিদ্ধান্তে হল থেকে বহিষ্কার ও ছাত্রলীগ তাদের তদন্তের ভিত্তিতে অভিযুক্তদেও দল থেকে বহিষ্কার করেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. শেখ আবদুস সালাম বলেন, আমরা কাল (শনিবার) মিটিং দিয়েছি। মিটিং এ যেটা সিদ্ধান্ত হবে ওইটাই। এর বাইরে তিনি মন্তব্য করতে রাজি হননি।