শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫:৫১ পূর্বাহ্ন
ধন ধান্য পুস্প ভরা অপূর্ব এ ধরিত্রী! কিন্তু প্রকৃতিতে ভারসাম্য ব্যাহত হলে মানুষ থেকে শুরু করে পশুপাখিসহ সব প্রাণীর উপর এর প্রভাব পড়ে। পৃথিবীর তাপমাত্রা অনেক বেড়ে যাওয়ায় ভূমিকম্প, সাইক্লোন, সুনামী, অতিরিক্ত খরা, ঝড়-অতিবৃষ্টি আর পাহাড়ি ঢল এর সবই আমাদের নিজেদের ডেকে আনা। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, এর সবই হচ্ছে বিশে^র তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ার তথা জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে। তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে বরফ গলে সাগরের উচ্চতা বাড়ছে। ফলে তলিয়ে যাচ্ছে বিশে^র বহু জনপদ। এই ঝুঁকির মধ্যে শীর্ষে আছে বাংলাদেশ।
জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সৃষ্ট পরিবেশ বিপর্যয়ের কারণে ২০০৮ থেকে প্রতি বছর বিশে^ ২ কোটি ৭০ লক্ষ মানুষ গৃহহীন হচ্ছে। বৈশি^ক উষ্ণতার ফলে যে হারে বরফ গলছে তাতে ২১০০ সালের মধ্যে সমুদ্রেপৃষ্ঠের উচ্চতার প্রায় পাঁচ পুট বাড়বে। এই পরিসংখ্যান সত্যি হলে সবচেয়ে ভুগবে বাংলাদেশ। ব্র্রিটেনের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা ডিএফডিআই এর মতে, পাঁচ ফুট পানি বাড়লে বাংলাদেশের এক-পঞ্চমাংশ তলিয়ে যাবে, যার ফলে প্রায় ৩ কোটি মানুষ হবে গৃহহীন একইসঙ্গে কমে যাবে ফসল উৎপাদন, বাড়বে রোগ বালাই। বিশে^ এই তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে মূলত উন্নত দেশগুলোর অতিমাত্রায় গ্রিন হাউজ গ্যাস বৃদ্ধির কারণে। এই গ্যাসের বৃদ্ধি ঘটাচ্ছে উন্নত দেশসমূহ্ ফলে বৈশি^ক তাপমাত্রা পরিবর্তনে আমাদের কোন দায় নেই। এর দায় পুরোপুরি উন্নত দেশগুলোর। উন্নত দেশগুলোর শিল্প বিপ্লবের পর থেকে চলমান এই বিপর্যয়ের ধারা অব্যাহত রয়েছে এবং বিশে^র শিল্পোন্নত দেশগুলো তাদের শিল্প কারখানার পাশাপাশি কার্বন নি:সরণের পরিমানও বাড়িয়ে চলছে। তাই বৈশি^ক উষ্ণায়ন মোকাবেলায় ‘গ্রীনহাউজ’ নামক একটি পরিবেশবাদী সংগঠনের ব্যানারে বৃক্ষরোপন কর্মসূচী বাস্তবায়নে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
-সম্পাদক
একশে টাইমস্