শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ০৯:০৬ পূর্বাহ্ন
একাত্তরের ১৯ এপ্রিল শুক্রবার ট্রেনযোগে হানাদার পাকবাহিনী কিশোরগঞ্জের দিকে এগিয়ে আসে। পথে যশোদল-কিশোরগঞ্জ রেলস্টেশনের মধ্যবর্তী স্থানে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা পূর্ব থেকেই রেললাইন উপড়ে রেখেছিল। ফলে পাকসেনারা যশোদল স্টেশনে ট্রেন থেকে নেমে রেললাইন ধরে পায়ে হেঁটে কিশোরগঞ্জের দিকে এগিয়ে আসতে থাকে। পথে বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ আর এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ করে জনমনে ভীতির সঞ্চার করে। সামনে যাকে পেয়েছে তাকেই গুলি করে হত্যা করেছে। পাকবাহিনীর আগমন সংবাদ পেয়ে শহরবাসী সাধারণ নাগরিকেরা প্রাণের ভয়ে সহায়-সম্পদ ফেলে যেদিকে পারে দৌড়ে পালাতে থাকে। পঙ্গপালের মতো উদ্বাস্ত মানুষের অনিশ্চিত ছুটে চলার দৃশ্য আজও কিশোরগঞ্জের মানুষ ভুলতে পারেনি। পেছনে ধাবমান মৃত্যু, তাই বাঁচার জন্য মানুষের গন্তব্যহীন উর্ধ্বশ্বাসে পলায়ন, সে দৃশ্য আজও মানুষকে আতঙ্কে শিহরিত করে।
উল্লেখ্য যে, পাকবাহিনী কিশোরগঞ্জে প্রবেশ করার সময় তারাপাশার রিক্সাচালক জজ মিয়াকে গুলি করে স্টেশনের সামনে এবং একরামপুর ব্রীজ অতিক্রম করে পুরান থানায় এক পাগলকে হত্যা করে- এভাবে নরপিশাচরা তাদের হাতকে রক্তে রাঙিয়ে তুলে।
শাফায়েত জামিল রাজীব
সম্পাদক
একুশে টাইমস্