বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭:১১ পূর্বাহ্ন
১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারিতে, পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী গুলি চালিয়ে হত্যা করে মাতৃভাষার অধিকার প্রতিষ্ঠার দাবিতে মিছিলরত তরুণদের। সেই খবর ছড়িয়ে পড়ল সারা দেশে। কবি মাহবুব উল আলম চৌধুরী তখন অসুস্থ; তাঁর শরীরে জলবসন্তের চিহ্ন। তবুও রাত জেগে তিনি লিখলেন আগুনঝরা কবিতা- ‘কাঁদতে আসিনি, ফাঁসির দাবি নিয়ে এসেছি’। ২৩ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রামের লালদীঘির ময়দানে প্রতিবাদ সভায় সে কবিতা পাঠ করলেন তাঁরই সতীর্থ চৌধুরী হারুণ-উর-রশীদ। পাকিস্তান সরকার সে কবিতা বাজেয়াপ্ত করে। হুলিয়া জারি করে মাহবুব উল আলম চৌধুরীর ওপর এবং তাকে গ্রেফতার করেন। তাই তিনি ও তাঁর কবিতা হয়ে গেল ইতিহাসের অংশ। এছাড়াও তাঁর কবিতাটি বর্ণমালার যুদ্ধের এক মনস্তাত্ত্বিক হাতিয়ারে রূপ নিল।
পশ্চিম পাকিস্তানী শাসক গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে এই ঐতিহাসিক সাংস্কৃতিক আগ্রাসনের বিরুদ্ধে; আমাদের প্রতিবাদ ও প্রতিরোধ নতুন এক পথের সন্ধান দিল। যার নাম মুক্তির সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধ।
শাফায়েত জামিল রাজীব
সম্পাদক, একুশে টাইম্স নিউজ মিডিয়া
এন্ড ইউটিউব চ্যানেল