বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭:০৫ পূর্বাহ্ন
একাত্তরে এক সাগর রক্তের বিনিময়ে আমরা স্বাধীন জাতি হিসাবে রাজনৈতিক মুক্তি পেয়েছি। কিন্তু আজও আমাদের অর্থনৈতিক মুক্তি আসেনি। বর্তমানে বাজারে দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি নিম্নবিত্ত ও মধ্য বিত্তের জন্য নাভিশ্বাস হয়ে পড়েছে। অর্থনীতিবিদ ম্যালথাসের তত্ত্ব দিয়ে যদি দ্রব্যের বর্তমান বাজার দর যাচাই করি, তাহলে বলতে হয় মানুষের আয় বেড়েছে গাণিতিক হরে (১, ২, ৩, ৪) এবং দ্রব্যের মূল্য বেড়েছে জ্যামিতিক হারে (১, ২, ৪, ৮)। আয় ও ব্যায়ের ফারাকে পড়ে সাধারণ আয়ের মানুষের জীবন দিশেহারা। আয় বৃদ্ধি পেয়ে ৪ টাকা হলে দ্রব্যমুল্যের উর্ধ্বগতি ৮ টকায় দাড়ায়।
বিগত এক বছরের পরিসংখ্যানে দেখা যায়- চিনি, ভোজ্য তৈল, ডাল, আটা, মাছ, মাংস, সবজি প্রভূতি দ্রব্যের দাম অধিকাংশ ক্ষেত্রেই শতকরা ৩০-৫০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। অর্থাৎ ১০০ টাকার দ্রব্যের মূল্য ১৩০ টাকা থেকে ১৫০ টাকা হয়েছে। আমাদের দেশে সবজি, মাছ, ফল এসব পন্যের দাম বৃদ্ধির অন্যতম কারণ- সার, কীটনাশক, পোলটি ফিড ও কৃষি শ্রমিকের মজুরী বৃদ্ধি বিশেষ ফ্যাক্টর হয়ে দাড়িয়েছে। দ্বিতীয়ত- যে পন্যগুলো পার্শ্ববর্তী দেশ যেমন-ভারত ও চীন থেকে আসে- সেই পন্যগুলি আমাদের দেশের ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট এবং আমদানীকৃত দেশের ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট একটি গোপন সমঝোতার মাধ্যমে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে। তখন চাহিদা অনুযায়ী, যোগান না থাকায় সহজেই পণ্যের দাম আকাশচুম্বী হয়ে যায়। এভাবে অতিরিক্ত মুনাফা আমদানীকৃত দেশের সিন্ডিকেট ও রপ্তানীকৃত দেশের সিন্ডিকেট ভাগাভাগি করে নেয়। এছাড়াও বিদ্যুৎ, পেট্রোল, ডিজেলের মতো দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধির ক্ষেত্রে মহামারী করোনা এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ও বিশ্বমন্দার প্রভাব রয়েছে। দ্রব্যের নাভিশ্বাস উর্ধ্বগতিরোধ করতে বাজার মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার করা এবং বিশেষক্ষেত্রে ভর্তুকি প্রদান করার জন্য সরকারের নিকট সুপারিশ করা হল।
শাফায়েত জামিল রাজীব
-সম্পাদক
একুশে টাইমস্ নিউজ মিডিয়া