একুশে ডেস্ক:
সকাল থেকেই ঠা ঠা রোদে শুরু হচ্ছে দিন। প্রতিদিন একটু একটু করে বাড়ছে সূর্যের তাপ। প্রচণ্ড গরমে বেলা বাড়তেই পথে-ঘাটে কমে যাচ্ছে লোকের সংখ্যা। তাপপ্রবাহের জেরে ঘেমেনেয়ে একাকার মানুষ। কাজের সূত্রে সারা দিনের জন্য যাদের রাস্তায় থাকতে হচ্ছে, তাদের অবস্থা তো দফারফা।
রাজশাহীতে সারা দিন রোদের তীব্রতা এতটাই বেশি যে, মানুষজন অতিষ্ঠ হয়ে পড়ছেন। রোদে পুড়ছে পদ্মাপাড়ের এই শহর। গরমের তীব্রতায় অসহায় প্রাণীকূল। ঘরে-বাইরে কোথাও স্বস্তি নেই। রমজান মাসে প্রকৃতি যেন রুদ্র মূর্তি ধারণ করেছে। অব্যাহত তাপপ্রবাহে সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে। একটু শীতল হাওয়ার পরশ পেতে ব্যাকুল হয়ে উঠেছেন মানুষ। কিন্তু বৃষ্টির দেখা নেই।
শুক্রবার রাজশাহীতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা এ মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। কয়েক দিন ধরে রাজশাহী অঞ্চলের ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে তাপপ্রবাহ। এর মধ্যে গত ৪ এপ্রিল মাত্র দশমিক ৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়। এর আগে ও পরে দেশের বিভিন্ন স্থানে হালকা বৃষ্টি হলেও খরাপ্রবণ এলাকা রাজশাহীতে বৃষ্টির দেখা নেই।
বৃষ্টির জন্য চারিদিকে হাহাকার পড়েছে। টানা দাবদাহে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। অসহনীয় রোদ আর গরমে স্থবিরতা নেমে এসেছে কর্মজীবনেও। বাসা, অফিস কিংবা ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান সবখানেই যেন গরম আর গরম।
রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের জ্যেষ্ঠ আবহাওয়া পর্যবেক্ষক রেজওয়ানুল হক জানিয়েছেন, কয়েক দিন ধরে রাজশাহীর তাপমাত্রা বাড়ছে। শুক্রবার বেলা ৩টায় রাজশাহীতে সর্বোচ্চ তাপামাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
তিনি জানান, সাধারণত তাপমাত্রা ৩৬ থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে মৃদু তাপপ্রবাহ, ৩৮ থেকে ৪০ হলে মাঝারি তাপপ্রবাহ এবং ৪০ থেকে ৪২ হলে তীব্র তাপপ্রবাহ ধরা হয়। তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে উঠলে তাকে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ হিসেবে ধরা হয়।