শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:০১ পূর্বাহ্ন
গত কয়েকদিন ধরে প্রচণ্ড দাবদাহে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। কোথাও বয়ে যাচ্ছে মৃদু তাপপ্রবাহ, আবার কোথাও চলছে মাঝারি থেকে তীব্র তাপপ্রবাহ। তবে এর চেয়েও কষ্টদায়ক হলো ‘অনুভব তাপমাত্রা’। ব্যারোমিটারে যে গরম ধরা পড়ছে, বাস্তবে গরম অনুভূত হচ্ছে তার চেয়ে গড়ে ২ থেকে ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি। এই গরমে সব বয়সের মানুষেরই দুরবস্থা। তবে সবচেয়ে বেশি কষ্ট পাচ্ছে বৃদ্ধ ও শিশুরা। কৃষক-মজুর থেকে শুরু করে খেটে খাওয়া মানুষেরও ত্রাহিদশা।
এমন পরিস্থিতিতে আবহাওয়া দপ্তর থেকেও মেলেনি কোনো স্বস্তির খবর। তারা জানিয়েছেন, গরম থেকে আপাতত নিস্তার মিলছে না। ৮ বা ৯ জুনের পর দেশের বিভিন্ন স্থানে বিচ্ছিন্নভাবে বৃষ্টি হতে পারে। অর্থাৎ ৭ জুন পর্যন্ত দেশে দাবদাহ অব্যাহত থাকার আশঙ্কা রয়েছে। দেখা যাচ্ছে, গরমে হাঁসফাঁস পরিস্থিতির মধ্যে একটু প্রশান্তির আশায় ভিড় বেড়েছে শরবত ও জুসের দোকানে। তবে এ সময়ে ভাইরাসজনিত রোগেরও প্রাদুর্ভাব বেড়েছে।
চিকিৎসকরা বলছেন, এমন আবহাওয়ায় জ্বর, সর্দি-কাশির পাশাপাশি হিটস্ট্রোক, চর্মরোগসহ শ্বাসকষ্ট ও ডায়রিয়া হওয়ার আশঙ্কা বেশি থাকে। তাই বাইরের ভ্রাম্যমাণ শরবত ও জুসের দোকানে যারা ভিড় করছেন, তাদের বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন জরুরি।