শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:২৪ পূর্বাহ্ন

এক যুগে সর্বোচ্চ মূল্যস্ফীতি

এক যুগে সর্বোচ্চ মূল্যস্ফীতি

দেশের বাজারে খাদ্যপণ্যসহ সব ধরনের নিত্যপণ্যের দাম অস্বাভাবিক হারে বেড়েই চলেছে। অব্যাহত মূল্যস্ফীতির কারণে ভোক্তাদের এখন দম বন্ধ হওয়ার মতো পরিস্থিতি। সবচেয়ে বেশি বেগতিক অবস্থায় রয়েছে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত।

গত মে মাসে মূল্যস্ফীতির হার বেড়ে দুই অঙ্কের একেবারেই কাছাকাছি অর্থাৎ ৯ দশমিক ৯৪ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। তবে মূল্যস্ফীতির হার বেশি মাত্রায় বাড়লেও মজুরির হার বেড়েছে তুলনামূলক কম। টানা তিন মাস ৯ শতাংশের ওপরে থাকা মূল্যস্ফীতির প্রভাবে জীবিকা নির্বাহ করতে মানুষ খরচের খাতা ছোট করেছেন। অনেকে আবার ঋণ করে সংসার চালাচ্ছেন। এটা ঠিক, ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার পর থেকেই আন্তর্জাতিক বাজারে ব্যাপকভাবে বাড়তে থাকে জ্বালানি তেল-গ্যাস ও খাদ্যপণ্যের দাম। বিশ্বের অনেক দেশেই দিনদিন এ মূল্যস্ফীতি অসহনীয় পর্যায়ে পৌঁছেছিল। তবে অনেক দেশে তা কমেও এসেছে।

দুঃখজনক বিষয় হচ্ছে, দেশের মূল্যস্ফীতির পেছনে ভূ-অর্থনৈতিক প্রভাব যতটা না কাজ করছে, এর চেয়ে বেশি কাজ করছে অসাধু সিন্ডিকেটদের নৈরাজ্য। মঙ্গলবার যুগান্তরের এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, মূল্য নিয়ন্ত্রণে সরকারের একাধিক সংস্থা ব্যর্থ বলেই অতিরিক্ত মুনাফার আশায় সিন্ডিকেট চক্র বাজারে অস্বাভাবিকভাবে পণ্যের দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে।

তেল, চাল, কৃষিপণ্য তো বটেই, কুরবানির ঈদ সামনে রেখে এই চক্র মসলাজাতীয় পণ্যের দামও অস্বাভাবিকভাবে বাড়িয়ে দিয়েছে। পরিস্থিতি এমন দাঁড়িয়েছে, ১৩০ টাকায় আমদানি করা প্রতি কেজি আদা ৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ১৩০ টাকা কেজির জিরা ক্রেতাকে ৮৬০ টাকায় কিনতে হচ্ছে। এছাড়া গত এক মাসে এলাচ, লবঙ্গ, দারুচিনি ও রসুনের দামও হুহু করে বেড়েছে। এমন অবস্থায় পরিস্থিতি সামাল দিতে সরকারের একাধিক সংস্থা বাজার অভিযানে নেমেছে। তবে তারা দোষীদের চিহ্নিত করলেও দৃষ্টান্তমূলক কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। ফলে অসাধু ব্যবসায়ীরা সুযোগ বুঝে ভোক্তার পকেট থেকে হাতিয়ে নিচ্ছে হাজার হাজার কোটি টাকা, আর ভোক্তা বাজারে সর্বস্ব হারাচ্ছেন।সূত্র: যুগান্তর

Print Friendly, PDF & Email

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © 2021
Design By Rana