রবিবার, ১০ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৫৬ অপরাহ্ন
দেশের ভেতরে ও উজানে ভারি বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলের কারণে এ বছর বন্যা হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। সরকারি সংস্থা বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র (এফএফডব্লিউসি) এবং যুগান্তর প্রতিনিধিদের পাঠানো প্রতিবেদনে জানা গেছে, দু-একদিনের মধ্যে নীলফামারীসহ উত্তরাঞ্চলে বন্যা দেখা দিতে পারে। বিশেষ করে দুধকুমার নদীর পানি পাটেশ্বরী পয়েন্টে ২৪ ঘণ্টায় বেড়ে সেখানে বন্যা তৈরি হতে পারে।
গত বছর আমাদের দীর্ঘস্থায়ী বন্যার অভিজ্ঞতা হয়েছে। প্রায় দেড় মাস স্থায়ী সে বন্যায় মানুষকে অবর্ণনীয় দুর্ভোগ পোহাতে হয়। কাজেই বন্যা মোকাবিলার জন্য এখন থেকেই পূর্বপ্রস্তুতি নেওয়া জরুরি। যে কোনো দুর্যোগ সামনে রেখে এর মানবিক বিপর্যয়ের দিকগুলোর প্রতি গুরুত্ব দেওয়া উচিত।
সম্ভাব্য বন্যাকবলিত এলাকায় অসহায় মানুষ যাতে পর্যাপ্ত পরিমাণে খাদ্য ও পানীয় পায়, এ ব্যাপারে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণের পাশাপাশি তাদের স্বাস্থ্যঝুঁকি মোকাবিলার বিষয়েও প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে। বন্যা-পরবর্তী সংস্কার ও পুনর্বাসনের ব্যাপারেও একই কথা প্রযোজ্য।
এটা ঠিক, দেশে প্রতিবছরই কমবেশি বন্যা দেখা দেয়। বাংলাদেশ ভাটির দেশ। উল্লেখযোগ্যসংখ্যক নদীর উৎস দেশের ভূ-সীমানার বাইরে। অভিন্ন নদীগুলোর গতিপ্রবাহ স্বাভাবিক রাখার ব্যাপারে প্রতিবেশী দেশ, বিশেষ করে ভারত ও নেপালের সঙ্গে এমন গঠনমূলক উদ্যোগ নেওয়া উচিত, যাতে তা ফলপ্রসূ হয়। লক্ষণীয়, বিশ্বের জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে ভবিষ্যতে দেশে বন্যার প্রকোপ ও ব্যাপ্তি ক্রমেই বাড়তে থাকবে।
এজন্য আগাম প্রস্তুতি হিসাবে নদী খননের মাধ্যমে উজান থেকে বেয়ে আসা পলি নিয়মিতভাবে ও দ্রুত অপসারণের বিষয়েও সরকারকে গুরুত্ব দিতে হবে। পাশাপাশি বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ রক্ষণাবেক্ষণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে মনোযোগ দিতে হবে।