বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:৩৭ অপরাহ্ন
একুশে ডেস্ক:
নব্বই দশকের কথা। কেবলই ধীরে ধীরে বিজ্ঞানের শাখাগুলো পাখা মেলছে। ১৯৭০ সালের দিকে শুরু হলো নতুন শব্দের উন্মোচন। গুগল, ইউআরএল এবং ফাইবার অপটিক ব্রড ব্যান্ডের সঙ্গে সবে পরিচিত হচ্ছিল। কালের ধারায় সেগুলোই যেন আজ আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে আছে জীবনের সঙ্গে। তারই ধারাবাহিকতায় বর্তমান যুগে প্রযুক্তির সবচেয়ে বড় বিপ্লব কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা। বুলেট বেগে চলা এই পৃথিবীতে টিকে থাকতে বিজ্ঞানের এক নতুন সংযোজন এটি। মঙ্গলবার বিবিসির প্রতিবেদনে এ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার আদ্যোপান্ত নিয়ে উঠে আসলো নানা তথ্য।
বিশ্লেষকরা বলছেন, এআইয়ের অতি ব্যবহারে মানুষের মনুষ্যত্ব, মানবতা সব ধ্বংস হয়ে যাবে। এআই ব্যবহারের লাগাম টানতে ইতোমধ্যেই বিশেষ বৈঠক হয়েছে জাতিসংঘে।
আর্টিফিশিয়াল জেনারেল ইন্টেলিজেন্স (এজিআই)
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) বিষয়টি ধীরে ধীরে পরিবর্তন হচ্ছে। প্রথমদিকে এ প্রযুক্তি ছিল খুবই সংকীর্ণ ও দুর্বল। বিশ্বের সেরা দাবারুকে নিমিষে হারিয়ে দিতে পারে যে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সেটির ডিম ভাজির সহজ রেসিপি বা একটা প্রবন্ধ লেখার ক্ষমতা কিছুদিন আগেও ছিল না; কিন্তু আর্টিফিশিয়াল জেনারেল ইন্টেলিজেন্স একধাপ উন্নত যা মানুষের মতো চিন্তা ও চেতনাকে ধারণ করতে পারে। ওপেন এআই এবং ডিপমাইন্ডের মতো সংস্থাগুলো এজিআইকে আরও উন্নত করার লক্ষ্যে কাজ করছে। তাদের মতে, ‘এটি মহাশক্তির গুণক’ হয়ে উঠবে। তবে কেউ কেউ ভয় পান যে, আরও একধাপ এগিয়ে যাওয়া স্মার্ট সুপার ইন্টেলিজেন্স তৈরি বড় বিপদ ডেকে আনতে পারে। মানুষের মাঝে এমন নৈতিক ও সামাজিক মূল্যবোধ রয়েছে; যা আমাদের সমাজকে একত্রে আবদ্ধ করে। এখন অনেকেরই চিন্তা সুপার আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স মানুষের বিশ্বাস, দৃষ্টিভঙ্গি ও মূল্যবোধের সঙ্গে একীভূত হবে কিনা।