মেডিকেল ইমার্জেন্সিতে যেতে হবে হাসপাতালে; সঙ্গে নেই ঘরের চাবি, আইডি কার্ড এবং ক্রেডিট/ডেবিট কার্ড। শুধু মেডিকেল কেস সামারি নিয়ে আপনি নিশ্চিন্ত মনে বাসা থেকে রওনা দিলেন। হাত ছুঁয়ে দিতেই পাসলক খুলে যাচ্ছে ঘরের দরজার, হাসপাতালে হয়ে গেল ইনফরমেশন ভ্যরিফিকেশন; ক্যাশ কিংবা ভিসা/মাস্টারকার্ড ছাড়াই বিল পেমেন্ট করে ফেললেন শুধু হাত ছুঁইয়ে দিয়ে। ভাবছেন, এত কাজ চাবি, আইডি কার্ড এবং ক্রেডিট/ডেবিট কার্ড ছাড়া কীভাবে করে ফেললেন? কাজগুলো সম্ভব হয়েছে শুধু আপনার হাতে ইমপ্ল্যান্ট করা মাইক্রোচিপ প্রযুক্তির মাধ্যমে। শরীরে মাইক্রোচিপ স্থাপনের ভাবনা যে একেবারে নতুন, তা নয়। সায়েন্স ফিকশন বইগুলো এ রকম ধারণার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিল আগেই। বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনির সেই ধারণাগুলোই দিনদিন বাস্তবে রূপ নিচ্ছে প্রযুক্তির বিকাশের সঙ্গে সঙ্গে।
মাইক্রোচিপ সিলিকনের তৈরি অতিক্ষুদ্র একটি যন্ত্রাংশ, যা কম্পিউটারের মাদারবোর্ডে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। এটিকে সিলিকন চিপ বা কম্পিউটার চিপও বলা হয়ে থাকে। কম্পিউটার ছাড়াও নানা রকম ইলেকট্রনিক যন্ত্র যেমন- ক্যালকুলেটর, ঘড়ি, ল্যাম্প ইত্যাদিতে মাইক্রোচিপ ব্যবহার করা হয়। নানা রকম আণুবীক্ষণিক যন্ত্রাংশ দিয়ে তৈরি এই মাইক্রোচিপ। চালের দানার আকারের যন্ত্রতে সংরক্ষণ করা যায় কয়েক টেরাবাইট তথ্য। চাবি, আইডি কার্ড, মানিব্যাগ, নগদ টাকার বিকল্প হিসেবে ব্যবহারের জন্য শরীরে মাইক্রোচিপ ইমপ্ল্যান্টের প্রযুক্তি বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে বিশে^। বিশেষ করে সুইডিশদের মধ্যে মাইক্রোচিপ প্রযুক্তির ব্যবহার সবচেয়ে বেশি। হাতে মাইক্রোচিপ লাগানো থাকলে হাত ছুঁইয়ে দিয়েই প্রবেশ করতে পারছেন যেকোনো অথোরাইজড জায়গায়, ফলে আইডি কার্ড বহন করার কোনো প্রয়োজনীয়তা থাকছে না, প্রয়োজনীয়তা থাকছে না বিল পেমেন্টের ক্ষেত্রে। জীবনকে সহজ করে তুলছে মাইক্রোচিপের ব্যবহার।