বুধবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৪, ০৬:৩৫ পূর্বাহ্ন

রসিকতায়ও জুড়ি ছিল না নজরুলের

রসিকতায়ও জুড়ি ছিল না নজরুলের

কাজী নজরুল ইসলাম সম্পর্কে বুদ্ধদেব বসু বলেছিলেন, ‘কণ্ঠে তার হাসি, কণ্ঠে তার গান, প্রাণে তার অফুরান আনন্দ-সব মিলিয়ে মনোলুণ্ঠনকারী এক মানুষ।’ তার জীবনে দুঃখ-কষ্টের অভাব ছিল না, আবার হাসি-ঠাট্টারও অভাব ছিল না। জীবনকে জটিল না করে রসবোধের মাধ্যমে তিনি উপভোগ করতে পছন্দ করতেন। আড্ডায়, সাহিত্যসভায় তার রসিকতা নিয়ে অনেক গল্প প্রচলিত রয়েছে।
 ১. কলকাতার বিষ্ণু ভবন ছিল নজরুলের গান রচনা আর রেকর্ডের আঁতুড়ঘর। সেখানকার রিহার্সেল রুমে চা সাপ্লাই করতেন সুধীর নামে এক লোক। তার প্রতি হুকুম ছিল প্রতি আধা ঘণ্টা পরপর কবির সামনে ‘হাফ কাপ চা’ রেখে যাওয়ার। এই চায়ের রং দুধের স্বল্পতার কারণে কালচে-লাল ছিল। কবি তাই এর নাম দিয়েছিলেন ‘সুধীর বাবুর বদরক্ত!’
২. কাজী নজরুল ইসলাম তখন গ্রামোফোন কোম্পানির সঙ্গে যুক্ত। একদিন তিনি ওখানে দোতলায় বসে আছেন। এমন সময় এক কমর্চারী এসে বললেন, ‘কাজীদা, ইন্দুদি (সংগীতশিল্পী ইন্দুবালা) আপনাকে নিচে ডাকছেন।’
এ কথা শুনে কবি সকৌতুকে বললেন, ‘আর কত নিচে নামব, ভাই।’
৩. সুফিয়া কামাল কাজী নজরুল ইসলামকে ডাকতেন দাদু বলে। কবি প্রায়ই সুফিয়া কামালের বাড়ি যেতেন। সেখানে গানের আসর বসত। সে আসরে সাহিত্য অনুরাগী অনেকেই থাকতেন। এ সময় নজরুলের পেছনে গোয়েন্দা লাগে। সাহিত্য অনুরাগীদের সঙ্গে মিশে কয়েকজন গোয়েন্দাও আসতেন। একদিন এক ভদ্রলোকের মুখের ওপর নজরুল কবিতা আওড়ালেন, তুমি টিকটিকি জানি ঠিকঠিকই। কবিতার ধরন শুনে লোকটি মুখ লাল করে উঠে যেতেই কিশোরী সুফিয়া কামাল অবাক হয়ে বললেন, দাদু। তুমি একে চিনলে কী করে?
গায়ের গন্ধে। বড়কুটুম যে। নজরুলের উত্তর।
Print Friendly, PDF & Email

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © 2021
Design By Rana