বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭:২৮ পূর্বাহ্ন
মোঃ রেজাউল করিম (পাকুন্দিয়া প্রতিনিধি) কিশোরগঞ্জ:
পাকুন্দিয়া উপজেলার এগারসিন্দুর ইউনিয়নের আদিত্যপাশা গ্রামের আলাউদ্দিন বিগত ২০২২ সালে ২২ শতক জমিতে জি-নাইন কলা বাগান স্থাপনের জন্য সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। এবং সে লক্ষ্যে উপজেলা কৃষি অফিসের পরামর্শ মতে বাগান স্থাপন করেন। কলাবাগান স্থাপন সনাতন পদ্ধতির পরিবর্তে উন্নত প্রযুক্তির পদ্ধতি গ্রহণের ফলে তার স্থাপনকৃত বাগান সাফল্যের মুখ দেখেন।
প্রতিবেদককে চাষী আলাউদ্দিন জানান, পূর্বে আমরা কলা বাগান স্থাপন করে বিভিন্ন রোগের আক্রমনে আর্থিক দিক দিয়ে তেমন লাভবান হতে পারি নাই। গাছ ফেটে যেত, ডগা হলুদ কালো রং ধারণ করে আর্থিক সংখ্যক গাছ মরে যেত। তাই তার পরবর্তীতে আঙ্গিয়াদী ব্লকের হামিমুল হক উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তার সাথে পরামর্শ নিতে গিয়ে জানতে পাই মাটিতে চুন প্রয়োগ, সুষম সার ব্যবহার, ভালো ও সুস্থ্য যাতের চারা সংগ্রহণ করে জমি স্থাপন করে প্রয়োজন মত যত্ম নিলে কলা বাগান স্থাপন করে আর্থিক ভাবে লাভবান হওয়া যাবে।
সে লক্ষ্যে আঙ্গিয়াদী ব্লকের কর্মকর্তার পরামর্শ মতে উক্ত ২২ শতক জমিতে জি-নাইন জাতের কলা বাগান স্থাপন করি। শুরু থেকে বাগান সুস্থ্য ও পরবর্তীতে ফলবান হয়ে উঠে। বাগান স্থাপনের ১১ মাস পর জমি হইতে কলা সংগ্রহ শুরু হয়ে প্রথম বছরেই জমির মোট ১৯০টি কাদি বিক্রয় করে ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা বিক্রি করে আয় করি এবং উক্ত জমির মুরি ফসল বিক্রয় শুরু করি। এখন পর্যন্ত বাগানে ৫০টির মত কাদি আছে। বাগানের ব্যবস্থাপনা খরচ বাবদ মোট ২৫ হাজার টাকা ব্যয় হয়। এছাড়াও বাগানে রোপনের পর সাথি ফসল হিসেবে উন্নত জাতের টমেটো চাষ, পাতা কপি চাষ করে ৯০ দিনে তার থেকেও বাড়তি মুনাফা অর্জিত হয়েছে। উপ-সহকারী হামিমুল হক সোহাগ বলেন আমার ব্লকে অন্যান্য কলা চাষীদের সবসময় পরামর্শ প্রদান করে যাচ্ছি। যাতে তারা কলা চাষ করে আর্থিক ভাবে স্বাবলম্বী হতে পারে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নূর-এ-আলম জানান এগারসিন্দুর ইউনিয়নের আঙ্গিয়াদী ব্লকে আলাউদ্দিন ছাড়াও আরও অনেকে কলা চাষে আগ্রহী হচ্ছে। কলা চাষিদের সার্বিক পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে এবং উপজেলা পর্যায়ে হাতে কলমে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হচ্ছে।