বুধবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৪, ১০:৩১ পূর্বাহ্ন

অর্থ উপার্জনে মুমিনের সতর্কতা

অর্থ উপার্জনে মুমিনের সতর্কতা

অর্থ ছাড়া মানুষের জীবন অর্থহীন। কথাটি জাগতিক দিক থেকে যেমন সত্য, তেমনি ইসলামের দিক থেকেও অর্থ গুরুত্বপূর্ণ। ইসলামের কিছু ইবাদত অর্থ ছাড়া পালন করা সম্ভব হয় না। ইসলাম যেহেতু পরিপূর্ণ জীবনব্যবস্থা, তাই জীবনের সব সেক্টরে মানুষের জন্য রয়েছে পথনির্দেশ। সম্পদ উপার্জনের জন্যও রয়েছে এতে স্পষ্ট নির্দেশনা। ইসলাম বৈধভাবে সম্পদ উপার্জনের নির্দেশ করেছে। অবৈধ উপায়ে উপার্জিত সম্পদকে হারাম ঘোষণা করেছে। অবৈধ সম্পদের প্রভাব ইবাদত-বন্দেগিতে পড়ে। অবৈধ সম্পদ উপার্জনকারীর না দোয়া কবুল হয়, না ইবাদত-বন্দেগি কবুল হয়। আলেমরা বলেন, দ্বীনের ২৫ শতাংশ হলো ইবাদত আর ৭৫ শতাংশ হলো লেনদেন-সামাজিকতা ইত্যাদি। কিন্তু বর্তমানে ধর্মকে শুধু ইবাদত-বন্দেগির গ-ির ভেতর সীমাবদ্ধ মনে করা হয়। যার কারণে সমাজের বহু মানুষ লেনদেন ও সামাজিকতা সম্পর্কে নিজেকে পরিপূর্ণ স্বাধীন মনে করে। যে যার মনমতো লেনদেন ও কারবার করতে চায়। অথচ যেভাবে নামাজের মধ্যে হালাল-হারামের বিধান রয়েছে। তেমনিভাবে লেনদেন ও কারবারের মধ্যেও হালাল-হারামের বিধান রয়েছে। হালালকে গ্রহণ করা ফরজ আর হারাম থেকে বেঁচে থাকা ফরজ। মহান আল্লাহ বলেন, ‘হে মানবম-লী, পৃথিবীর হালাল ও পবিত্র বস্তুসামগ্রী ভক্ষণ করো। আর শয়তানের পদাঙ্ক অনুসরণ করো না, সে নিঃসন্দেহে তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু’ (সুরা বাকারা : ১৬৮)। অবৈধ উপায়ে সম্পদ উপার্জন করার ব্যাপারে মহান আল্লাহ স্পষ্ট বলেছেন, ‘তোমরা নিজেদের মধ্যে একে অন্যের সম্পদ অবৈধ পন্থায় গ্রাস করো না এবং মানুষের ধনসম্পত্তির কিয়দাংশ জেনেশুনে অন্যায়ভাবে গ্রাস করার উদ্দেশ্যে তা বিচারকদের কাছে নিয়ে যেও না।’ (সুরা বাকারা : ১৮৮)
Print Friendly, PDF & Email

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © 2021
Design By Rana