রবিবার, ১০ নভেম্বর ২০২৪, ১১:০৩ পূর্বাহ্ন
সিরাজুল আলম খানের প্রচেষ্টায় ও অনুপ্রেরণায় “দৈনিক গনকণ্ঠ” নামে একটি পত্রিকা প্রকাশিত হয়। পত্রিকাটির সম্পাদক ছিলেন ড: আনিসুজ্জামান আর পত্রিকাটির নির্বাহী সম্পাদক ছিলেন আহম্মদ ছফা। সেই সময়ে, সরকার বিরোধী আলোচনা-সমালোচনার জন্য পত্রিকাটি ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করে। তখন জাসদের একটি উগ্র অংশ সারাদেশব্যাপী বিভিন্ন রাজনৈতিক সন্ত্রাসবাদে জড়িয়ে পড়ে। শ্রেণী- শত্রু খতমের মন্ত্র গ্রহণ করে। যেমন- কুষ্টিয়ার জনৈক এম.পি (সাংসদ) কে ঈদের নামাজের সময় নির্মমভাবে হত্যা করে। এমতবস্থায় রক্ষীবাহিনী ও পুলিশ জাসদের নেতাকর্মীদের গ্রেফতার ও অমানবিকভাবে অত্যাচার করে। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর স্নেহস্পদ সিরাজুল আলম খানের গায়ে কেউ একটি আচড় দিতে সাহস পায়নি। আওয়ামীলীগ বিরোধী বিভিন্ন আন্দোলন-সংগ্রামে সিরাজুল আলম খান নেতৃত্ব দিলেও ’৭৫ এর ১৫ই আগষ্টের নির্মম হত্যাকান্ডের সাথে উনার কোন সংশ্লিষ্টতা ছিল না। সেই সময়, উনি কলকাতায় নি:সন্তান দম্পত্তি চিত্তরঞ্জন সুতারের বাড়ীতে বেড়াতে গিয়েছিলেন। চিত্তরঞ্জন সুতারের স্ত্রী যখন তার ঘুম ভাঙিয়ে জানান যে, বঙ্গবন্ধু সপরিবারে নিহত। তখন সিরাজুল আলম খান শিশুদের মতো হাউমাউ করে কেঁদে উঠেছিলেন।
উল্লেখ্য যে, চিত্তরঞ্জন সুতার ছিলেন নি:সন্তান। তথাপি উনার স্ত্রী সিরাজুল আলম খানকে নিজ সন্তানের মতো স্নেহ করতেন। মাতৃস্নেহে প্রলুব্ধ হয়ে সিরাজুল আলম খান একাত্তরের পরবর্তী সময় কলকাতায় চিত্তরঞ্জন সুতারের বাড়িতে আতিথ্য গ্রহণ করতেন। সিরাজুল আলম খান উনি নিজেও চিরকুমার ছিলেন।
শাফায়েত জামিল রাজীব
-সম্পাদক
একুশে টাইমস্