শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬:০৯ পূর্বাহ্ন
ভারতের অন্যতম বাণিজ্যিক শহর ও বন্দর নগরী হলো বোম্বে। সব ধরণের অসামাজিক অপরাধ, চাঁদাবাজী, হত্যা, খুন প্রভূতি সমাজবিরোধী কার্যকলাপের জন্য বোম্বের মাফিয়াদের খ্যাতির শেষ নেই। নব্বই দশকের শেষের দিকে বোম্বে নগরীর সব চেয়ে ভয়ংকার মাফিয়া ও এক গ্যাংস্টারের নাম হাসিনা পার্কার। হাসিনা পার্কার ছিলেন উপমহাদেশের অন্যতম মাফিয়া ডন দাউদ ইব্রাহিমের ছোট বোন। নব্বই দশকের প্রারম্ভে বোম্বেতে দাউদ ইব্রাহিমের গ্যাং সিরিজ বোমা হামলা চালায়। এই হামলায় শতশত মানুষ মারা যায়। পরিস্থিতি প্রতিকূলে চলে গেলে দাউদ ইব্রাহিম মধ্য প্রাচ্যে পাড়ি জমান। এমনি এক সময় প্রতিপক্ষ গ্যাং এর সন্ত্রাসীরা দাউদ ইব্রাহিমের ভগ্নিপতি হোটেল ব্যবসায়ী হাসিনা পার্কারের নির্দোষ স্বামী ইসমাইলকে গুলি করে হত্যা করে।
অত:পর স্বামীর মৃত্যুর প্রতিশোধ নিতে হাসিনা পার্কার অন্ধকার জগতে পা দেয় এবং দাউদের অনুসারী ‘ডি’ কোম্পানীর সকল মাফিয়াদের একত্রিত করে নতুন গ্যাং তৈরী করে। ‘আপা’ নামে খ্যাত হাসিনা পার্কারের গ্যাং এক দশক বোম্বে শহর নিয়ন্ত্রণ করে। চাঁদাবাজী, টেন্ডারবাজী, রিয়েল এস্টেট বিজনেস, বন্দরের কমিশনসহ হত্যা-গুমের মতো অন্যায় কাজ করে টাকা উপার্জন করত এবং হাসিনা পার্কার ওরফে আপা নামে খ্যাত এ নারী ত্রাসের রাজত্ব সৃস্টি করে। কিন্তু হঠাৎ একদিন হাসিনার পার্কারের কলেজ পড়ুয়া ছেলে গাড়ী ড্রাইভ করার সময় সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যায়। এর পর গ্যাংস্টার হাসিনা পার্কার নীরব-নিস্তব্ধ হয়ে যায়। যেন এক মমতাময়ী মা সন্তানের শোকে শোকাভিভূত। শোকে ত্যাগ করলেন বোম্বের অন্ধকার জগৎ।