বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০১:২৬ অপরাহ্ন
মোঃ মাইন উদ্দিন : কিশোরগঞ্জের ভৈরব রেলওয়ে স্টেশনে এগারো সিন্ধুর ট্রেন ও কন্টেইনারবাহী ট্রেন দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে যে বিতর্ক চলছে এর শেষ কোথায়? গতকাল ২৩ অক্টোবর সোমবার বিকেলে ভৈরব রেলস্টেশনে এ দুুর্ঘটনা ঘটে। ভৈরব থেকে আমার বাড়ির দুরত্ব যদিও প্রায় ১৫ কিলোমিটার কিন্তু দুর্ঘটনার সংবাদ পেয়ে আমি তাৎক্ষণিক পরিচিত দু-জনকে ফোন করে জানতে চেয়েছিলাম মানুষ মারা গেছে কি-না। এসময় একজন বলেছিলেন অনেক মানুষ মারা গেছে। জানতে চাইলাম কতজন হতে পারে? সে বলল- শতাধিক হতে পারে। আসলে ‘শতাধিক হতে পারে’ এটা কোনো নির্ভযোগ্য তথ্য নয়, এবং এসব তথ্যের ভিত্তিতে কোনো সংবাদও হতে পারে না। এরপর দু-একটা টেলিভিশন চ্যানেল ১৭ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়ে, উদ্ধার কাজ চলছে, মৃতের সংখ্যা শতাধিক হতে পারে এমন সংবাদ প্রচার করতে দেখেছি। পত্রিকায় কোনোটা ১৭ জন, কোনোটা ১৮ জন, কোনোটা ২০ জন এবং অনলাইনের সংবাদও ঠিক একইরকম। মৃতের সংখ্যা বেশি শুধু ফেসবুকেই। ফেসবুকে শেয়ার করা সংবাদে মৃতের সংখ্যা কম কেন এমন কমেন্টও করছে অনেকে। আমার কথা হল, মৃতের সংখ্যা কম বেশি যে যা-ই লিখুক কিন্তু স্বজনরা তো অবশ্যই তাদের নিখুঁজদের খুঁজতে ভৈরব স্টেশনে আসার কথা, তাহলে কি শতাধিক স্বজন নিখোঁজদের খুঁজতে ভৈরব রেলস্টেশনে গিয়েছিল? যদি না-ই যায় তাহলে মৃতের সংখ্যা নিয়ে যে বিতর্ক ফেসবুকে চলছে এ বিতর্কের শেষ কোথায়? দূর্ঘটনায় নিহতদের মাঝে ১৬ জনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তাদের মধ্যে ভৈরবের ৪ জন, কুলিয়ারচরের ২ জন, বাজিতপুরের ১ জন, কটিয়াদীর ১ জন, মিঠামইনের ২ জন, নান্দাইলের ৫ জন ও ঢাকার ১ জন বলে জানা গেছে। তবে মৃতের সংখ্যা যা-ই হোক কিন্তু এ মৃত্যুর দায় কে নেবে? বা কে শুনবে প্রিয় মানুষ হারনো স্বজনদের আর্তনাদ?