বুধবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৪, ০৮:৩২ পূর্বাহ্ন
একুশে ডেস্ক :
বিএনপির ডাকা ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ ঢিলেঢালাভাবে পালিত হয়েছে। মাঠে ছিল না বিএনপিসহ অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা। গত দুই দিনে অবরোধের সমর্থনে মিছিল কিংবা কোনো সভা-সমাবেশ দেখা যায়নি দলটির নেতাকর্মীদের। বন্ধ ছিল মহানগর ও জেলা কার্যালয়। এছাড়া গ্রেফতার আতঙ্কে বিএনপির শীর্ষ-মধ্যম শ্রেণির নেতারা রয়েছেন আত্মগোপনে।
হরতাল-অবরোধে দোকানপাট, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, কল-কারখানা, অফিস-আদালত ও স্কুল-কলেজ খোলা ছিল। দূরপাল্লার বাস চলাচল বন্ধ। যাত্রী সংকটে দূরপাল্লার বাস চলছে না বলে জানিয়েছে মোটর মালিক সমিতি। তবে অভ্যন্তরীণ রুটে বাস চলছে বলে তারা জানিয়েছেন।
এ অবস্থায় বিএনপির এই অবরোধ কর্মসূচিকে ব্যর্থ বলছেন রংপুর জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের নেতারা।
এদিকে গ্রেফতার আতঙ্কে আত্মগোপনে চলে গেছেন জেলা বিএনপি এবং অঙ্গ সংগঠনের শীর্ষ ও মধ্যমসারির নেতারা। মহানগরের আহবায়ক-সদস্য সচিবসহ অনেকেই কারাগারে থাকায় মধ্যমসারির নেতারা ঝুঁকি নিতে চাচ্ছেন না। এর ফলে রংপুরে ঢিলেঢালাভাবে পালিত হয়েছে দুই দফা অবরোধ কর্মসূচি।
সোমবার সবচেয়ে বড় বাস টার্মিনাল রংপুর আন্তঃজেলা বাস টার্মিনালে গিয়ে দেখা গেছে, অভ্যন্তরীণ রুটের বাস চলাচল করলেও দূরপাল্লার বাস ছাড়ছে না। যাত্রীও কম দেখা গেছে। তবে দোকানপাট, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, কল-কারখানা, অফিস-আদালত ও স্কুল-কলেজ খোলা ছিল। ট্রেনসহ অটো ও অন্যান্য যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক ছিল।
মহানগরের দুই শীর্ষ নেতা গ্রেফতার হওয়ার পর তাদের স্থলে শহীদুল ইসলাম মিজুকে মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক ও আব্দুস সালামকে সদস্য সচিবের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তবে তাদের কাউকে কার্যালয়ে দেখা যাচ্ছে না। তাদের অনুসারীদেরও কোনো তৎপরতা নেই। জেলা ও মহানগর বিএনপির শীর্ষ নেতারা মোবাইল ফোন বন্ধ রেখেছেন। ফলে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না।