মানুষের সুখ ও আনন্দের প্রকাশ ঘটে হাসির মাধ্যমে। হাসি মানুষের স্বভাবজাত বৈশিষ্ট্য। মহান আল্লাহ পৃথিবীতে সুন্দরতম যেসব বিষয়ের প্রকাশ ঘটিয়েছেন, হাসি তার অন্যতম। হাসিকে মহান আল্লাহর অপূর্ব নেয়ামত হিসেবেও আখ্যা দেওয়া যায়। মানুষ নানা উপলক্ষে হেসে থাকে। হাসি মানুষের সৌন্দর্যের অনন্য প্রতীক। যে কারণে হাসি-খুশি স্বভাবের মানুষকে সবাই ভালোবাসে, ভালো জানে। মহানবী হজরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের মুখে সর্বদা মুচকি হাসি লেগে থাকত। তিনি মানুষকে হাসিমুখে থাকতে উদ্বুদ্ধ করতেন। হাসির ক্ষেত্রেও ইসলামে রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা। হাসির মাধ্যমে পার্থিব উপকার যেমন ভোগ করা যায়, তেমনি পরকালীন জীবনের জন্যও অর্জন করা যায় প্রভূত সওয়াব।
হাসি আল্লাহ তায়ালার সৃষ্টি : যাপিত জীবনে মানবজাতির হাসি-কান্নাকে আমরা বাহ্যিক আনন্দ ও শোকের উপকরণের সঙ্গে সম্পৃক্ত করি, বাস্তবে ব্যাপারটি এমন নয়। গভীরভাবে চিন্তাভাবনা করলে বোঝা যায়, কারও হাসি-কান্না স্বয়ং তার আয়ত্বাধীন নয়, বরং এই হাসি-কান্না মহান আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে আসে। কারণ তিনিই হাসি-কান্নার সৃষ্টিকারী। আর তিনি উভয়টির উপায়-উপকরণ সৃষ্টি করেছেন। তিনি কখনো হাসান, আবার কখনো কাঁদান। এ ব্যাপারে পবিত্র কুরআনে বর্ণিত হয়েছে, ‘এবং এই যে, তিনি হাসান ও কাঁদান এবং এই যে, তিনি মৃত্যু ঘটান ও জীবন দান করেন।’ (সুরা নাজম : ৪৩-৪৪)।