১নং সেক্টর ও ‘জেড’ ফোর্সের অধিনায়ক মেজর জিয়াউর রহমান ‘৭১ এর মুক্তিযুদ্ধের শুরুতে চট্টগ্রাম ও পার্বত্য চট্টগ্রাম নিয়ে গঠিত ১নং সেক্টর কমান্ডার ও পরে ‘জেড’ ফোর্সের অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্বপালন করেন। ‘৭১ সালের ৭ই জুলাই প্রথম ইস্টবেঙ্গল, তৃতীয় ইস্টবেঙ্গল ও অষ্টম ইস্টবেঙ্গল সমন্বয়ে গঠিত হয় ‘জেড’ ফোর্স। এই ফোর্সের হেডকোয়ার্টার ছিল ভারতের মেঘালয়ে।
১৯৭১ সালের মার্চ মাসে ৮ম ইস্ট বেঙ্গলের সেকেন্ড ইন কমান্ড হিসেবে মেজর জিয়া কর্মরত ছিলেন চট্টগ্রামে। ২৫শে মার্চ রাতে তার দায়িত্ব ছিল চট্টগ্রাম বন্দরে অপেক্ষমান ‘সোয়াত’ জাহাজ থেকে অস্ত্রশস্ত্র খালাস করা। পথেই তাকে সংবাদ দেয়া হয় ঢাকা পাক বাহিনীর হত্যাযজ্ঞের। তখনই তিনি বিদ্রোহের সিদ্ধান্ত নেন ও অন্যান্য বাঙ্গালী অফিসারদের সংগঠিত করেন। ২৭ শে মার্চ ’৭১ কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে মেজর জিয়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের পক্ষে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা দেন।
১৯৭৬ সালের ৭ই নভেম্বর একটি পাল্টা সামরিক অভ্যূত্থানে বাংলাদেশের রাষ্ট্রক্ষমতায় আসেন জিয়াউর রহমান। ১৯৮১ সালের মে মাসে চট্টগ্রামে অপর একটি ব্যর্থ সামরিক অভ্যুত্থানে মুত্যু ঘটে তার। মুক্তিযুদ্ধের একজন প্রধান অধিনায়ক জিয়াউর রহমান ১৯৭২ সালে দৈনিক বাংলায় তার যে স্মৃতিকথা লিখেছিলেন- ‘একটি জাতির জন্ম শিরোনামে’ -“সেখানে দুটি বাক্য ছিলো; জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের উদাত্ত আহ্ববানে সারা দেশে শুরু হলো ব্যাপক অসহযোগ আন্দোলন। এবং ৭ই মার্চে রেসকোর্স ময়দানে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণ ছিল আমাদের কাছে এক গ্রীণ সিগন্যাল মনে হলো।
শাফায়েত জামিল রাজীব
-সম্পাদক, একুশে টাইমস্