শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ১০:২০ পূর্বাহ্ন
কিশোরগঞ্জ শহরের কিছু কিছু বিউটি পার্লারের আড়ালে চলছে অন্তরঙ্গ মধুচন্দ্রিমা। শহরের আবাসিক এলাকাগুলোতে ব্যাঙের ছাতার মতো নামসর্বস্ব সাইনবোর্ড দেখা যায়। বাস্তবে পার্লারের কোন বৈশিষ্ট্যের অস্তিত্ব নেই। দক্ষ বিউটিশিয়ান নেই। প্রয়োজনীয় প্রসাধনী নেই। আবার উচ্চমানের বিল পরিশোধ করতে হয়। প্রাপ্ত তথ্য ও উপাত্ত বিশ্লেষণ করে জানাযায়- পার্লারের ব্যবসার আড়ালে অনৈতিক কর্মকান্ড চলে। যেমন- গরীব বিউটিশিয়ান বা গ্রাম্য মেয়েরা অভাব ঘোচাতে পার্লারে কাজ নেয়। অত:পর কিছু দিন পরে ধনী ও দাপটশালী পার্লার মালিকরা এদের দরিদ্রের সুযোগ নেয়। দরিদ্র পার্লারকর্মী পিতার ঔষুধের টাকা যোগাতে, ভাইয়ের স্কুলের খরচ যোগাতে বা কঙ্কালসার স্বামীকে চিকিৎসা করাতে বাধ্য হয়ে বিপথে যায়। অনুসন্ধানে এমন একটি বিউটি পার্লার কিশোরগঞ্জ শহরের আখড়া বাজারের মোড়ে দেখা যায়। ঐ পার্লারে প্রতিনিয়ত ছেলেদের আনাগোনা রয়েছে। এবং এরা নিজেকে পার্লার মালিকের আত্মীয় বলে পরিচয় দেয়। আর ইন্টারনেটে রঙচটা প্রচারণাই তাদের পূঁজি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক; ঐ পার্লারের পাশর্^বর্তী এক মহিলা ব্যবসায়ী বলেন- এখানে প্রতিনিয়ত মহিলাদের সাথে ইয়ংবয়সী ছেলেদের আনাগোনা দেখা যায়। আমাদের জানামতে পার্লারের ভিতরে কোন পুরুষের প্রবেশ নিষেধ। এভাবে পার্লারের নামে অনৈতিক কর্মকান্ড চলতে থাকলে অন্যান্য পার্লারের ব্যবসায় ধ্বস নামবে।
শাহরিয়ার শরীফ
স্টাফ রিপোর্টার (ক্রাইম)
একুশে টাইমস্ নিউজ মিডিয়া
এন্ড ইউটিউব চ্যানেল।