বুধবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৪, ০৬:৩০ পূর্বাহ্ন

রজব মাসের মর্যাদা ও করণীয়

রজব মাসের মর্যাদা ও করণীয়

হিজরি ক্যালেন্ডারের সপ্তম মাস রজব। পবিত্র মাহে রমজানের বাতাস বইতে শুরু করে এ মাসে। বিশ^জুড়ে লাখো কোটি মুসলমান প্রতীক্ষায় থাকেন রহমত, বরকত ও মাগফিরাতের রমজান মাসের। রজব মাস যেন এ অপেক্ষার তীব্রতা আরও বাড়িয়ে দেয়। কারণ রজব এবং পবিত্র রমজানের মাঝখানে কেবল একটি মাস বিদ্যমান, তা হলো শাবান। রাসুল (সা.) রজব থেকেই পবিত্র রমজানের প্রস্তুতি শুরু করতেন।
মুমিন জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত, প্রতিটি দিন, প্রতিটি মাস বান্দার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই জন্যই আল্লাহ তায়ালা কুরআনের বিভিন্ন সুরা ও আয়াতে সময়ের শপথ করেছেন। মূলত সময়ের সৎ ও অসৎ ব্যবহারের মাধ্যমেই একজন মানুষের পরকালে অনন্ত অবিনশ্বর জীবনের সফলতা কিংবা বিফলতা নির্ধারিত হয়। তাই প্রত্যেক মানুষের উচিত আগত প্রতিটি মুহূর্তকে সুবর্ণ সুযোগ মনে করে আখেরাতের পাথেয় সঞ্চয়ে নিমগ্ন থাকা, কোনোভাবেই অর্থহীন কাজে তার অপচয় না করা। কেননা হেলায়-খেলায়, গাফিলত ও উদাসীনতায় সময় বরবাদ করলে একদিকে যেমন পস্তাতে হবে তেমনি অপরদিকে জবাবদিহিতার মুখোমুখি হতে হবে। রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, কেয়ামতের দিন কোনো বান্দা সেই পর্যন্ত কদম সরাতে পারবে না যতক্ষণ না তাকে চারটি বিষয়ে প্রশ্ন করা হবে-১. জীবন কোন কাজে ব্যয় করেছে? ২. যৌবন কোন পথে শেষ করেছে? ৩. সম্পদ কোন পথে উপার্জন করেছে এবং কোন কাজে ব্যয় করেছে? ইলম অনুপাতে কতটুকু আমল করেছে? (সুনানে তিরমিজি : ২৪১৬)
রজব মাসের মর্যাদা ও মাহাত্ম্য : অবশ্য কোনো কোনো দিন কোনো কোনো দিনের মোকাবিলায় এবং কোনো কোনো মাস কোনো কোনো মাসের মোকাবিলায় মর্যাদা, মাহাত্ম্য ও শ্রেষ্ঠত্বে অনন্য হয়ে থাকে। মর্যাদামণ্ডিত ও মাহাত্ম্যপূর্ণ সময় ও মাসগুলোর অন্যতম হচ্ছে মাহে রজব, যা আমাদের মধ্যে সমুপস্থিত। ইসলামি বর্ষপঞ্জির এই সপ্তম মাসটি ‘আশহুরে হুরুম’ তথা সম্মানিত চার মাসের অন্যতম, পবিত্র কুরআনে আল্লাহ তায়ালা যার উল্লেখ করেছেন। ইরশাদ হচ্ছে, ‘প্রকৃতপক্ষে আল্লাহর কাছে আল্লাহর কিতাবে (অর্থাৎ লাওহে মাহফুজে) মাসের সংখ্যা বারোটি, সেই দিন থেকে যেদিন আল্লাহ আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবী সৃষ্টি করেছিলেন। এর মধ্যে চারটি মাস মর্যাদাপূর্ণ। এটাই সহজ-সরল দ্বীনের দাবি। সুতরাং তোমরা এ মাসগুলোর ব্যাপারে নিজেদের প্রতি জুলুম করো না’ (সুরা তওবা : ৩৫)। রাসুল (সা.) মাস চারটির ব্যাখ্যা দিয়ে বলেন, ‘আল্লাহ যেদিন আসমান ও জমিন সৃষ্টি করেছেন, সেদিন যেভাবে সময় নির্ধারিত ছিল তা ফিরে এসেছে। বারো মাসে এক বছর। এর মধ্যে চার মাস নিষিদ্ধ ও সম্মানিত। চার মাস হচ্ছে-জিলকদ, জিলহজ ও মহররম এবং মুজারের মাস রজব যা জমাদিউস সানি ও শাবানের মধ্যবর্তী মাস।’ (বুখারি : ৩১৯৭)
Print Friendly, PDF & Email

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © 2021
Design By Rana