বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৩৫ অপরাহ্ন
বাঙলার শাসকদের মধ্যে মধ্য যুগে বৌদ্ধধর্মাম্বলম্বী পাল বংশের শাসকরা কিংবা পরবর্তীকালে দক্ষিণ ভারত থেকে আগত হিন্দু রাজবংশ সেন শাসকদের আমলেও এই জনপদের মানুষ সাংস্কৃতিগত ভাবে নিগৃত হয়েছে। কেননা ওরা বাংলার উর্বর মাটির মোটা অংকের খাজনা নিয়ে রাষ্টীয় কোষাগার ভরেছে; কিন্তু শাসনকার্য চালিয়েছে বাংলা নয়, সংস্কৃত ভাষায়। আবার ক্ষমতার পালাবদলে রাজদন্ড এসে গেলো- মুসলমানদের হাতে। তাদেরও রাজ দরবারের ভাষা ছিল বাংলা নয়, ফার্সি। অত:পর ইংরেজরা এসে চালু করলো ইংরেজী ভাষা। এভাবে বাংলার বহিরাগত শাসকেরা তাদের রাষ্ট্রীয় কার্যক্রম চালিয়েছেন বিভিন্ন ভাষায়। অত:পর একের পর এক, আমার মায়ের ভাষা বাংলা বরাবরই উপেক্ষিত হলো, লাঞ্চিত হলো। অবশেষে ’৫২র সেই রক্তস্নাত একুশে ফেব্রুয়ারির দিনে আমরা মায়ের ভাষাকে রাষ্ট্রভাষায় প্রতিষ্ঠিত হলো। রক্ত দিয়েছিল রফিক, শফিক, জব্বার, বরকত সহ অনেক ভাষা সৈনিক।
তাইতো বোধ হয় ভাষাতত্ত্ববিদ জ্ঞানতাপস, ড. মুহাম্মদ শহিদুল্লাহ বলেছিলেন “’৫২র ভাষা আন্দোনটি ছিল অভিজাততন্ত্রের বিরুদ্ধে গণতন্ত্রের বিপ্লব।” এ বিপ্লবকে স্বাগত জানিয়ে- রাজ পথে ফুটে থাকা লাল কৃষ্ণচুড়া, শিমুল পলাশ-রক্তিম বর্ণে শোভিত করেছিল বাংলার আকাশ বাতাস।
শাফায়েত জামিল রাজীব
-সম্পাদক
একুশে টাইমস্ নিউজ মিডিয়া
এন্ড ইউটিউব চ্যানেল।