বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:২৭ অপরাহ্ন
১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় চরম মৃত্যু, দু:স্বপ্নভরা বিভীষিকার মধ্যে জাহানারা ইমামের ত্যাগ ও সক্রিয়তা- দেশপ্রেমের সর্বোচ্চ উদাহরণ হয়ে আছে। শহীদের বেদনা বিধুর মাতৃহৃদয় এবং সন্তান বিয়োগের যন্ত্রণা মূর্ত হয়েছে জাহানারা ইমামকে কেন্দ্র করে। শহীদ রুমীর মাতা পরিণত হয় শহীদ জননীতে।
নব্বই দশকে মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত শক্তির উত্থানে জনমনে যে ক্ষোভের সঞ্চার হয় তার পটভূমিতে ১৯৯২ -এর ১৯ জানুয়ারি ‘একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি’ গঠিত হলে জাহানারা ইমাম এই সংগঠন এর আহ্বায়ক নির্বাচিত হন। তিনি মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন এবং একাত্তরের ঘাতকদের বিচারের দাবীতে দেশব্যাপী ব্যাপক গভণআন্দোলন পরিচালনা করেন। তাঁরই নেতৃত্বে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী ময়দানে লাখ লাখ মানুষের উপস্থিতিতে একাত্তরের ঘাতকদের বিরুদ্ধে পরিচালিত হয় গণ:আদালত। সাহিত্যকৃতির জন্য ১৯৯০ সারে তিনি বাংলা একাডেমীর পুরস্কার পান। উনার রচিত ‘একাত্তরের দিনগুলি’ গ্রন্থটি পাঠক মহলে বিশেষ ভাবে সমাদৃত।
শাফায়েত জামিল রাজীব
-সম্পাদক, একুশে টাইমস্ নিউজ মিডিয়া