বাংলাদেশ ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেন বলেছেন, বুয়েটে অবশ্যই ছাত্ররাজনীতি থাকতে হবে। বুয়েট শিক্ষার্থীর হলে আসন বাতিলের সিদ্ধান্তকে আমরা একটি অন্যায্য সিদ্ধান্ত মনে করছি। আমরা মনে করি এটি অসাংবিধানিক, মৌলিক অধিকার পরিপন্থী এবং শিক্ষাবিরোধী কর্মকাণ্ড। বুয়েটের একজন শিক্ষার্থীর যেমন রাজনীতি না করার অধিকার আছে, ঠিক তেমনি একজন শিক্ষার্থীর রাজনীতি করারও অধিকার রয়েছে। অন্যায়ভাবে একজন শিক্ষার্থীও যদি ক্ষতিগ্রস্ত হয় সে ক্ষেত্রে আমরা ছাত্রসমাজকে সঙ্গে নিয়ে আন্দোলনের মধ্য দিয়ে ফয়সালা করব।
শনিবার গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করার নামে বুয়েটে নিষিদ্ধ ছাত্ররাজনীতির চর্চা শুরু হয়েছে। হিজবুত তাহরির, ইসলামী ছাত্রশিবিরসহ বিভিন্ন উগ্র ও মৌলবাদী ছাত্রসংগঠন এখানে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছে এবং তাদের রিমোট কন্ট্রোলের মাধ্যমেই সাধারণ শিক্ষার্থীদের আবেগ অনুভূতিকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। এটির মাধ্যমে যে রাজনৈতিক এজেন্ডা বাস্তবায়নের চেষ্টা করছে আমরা সেটির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাই।
তিনি আরও বলেন, বুয়েটে নিয়মতান্ত্রিক ছাত্ররাজনীতি প্রতিষ্ঠার জন্য বুয়েট প্রশাসনকে জরুরিভাবে দাবি জানাই। বুয়েটে অবশ্যই ছাত্ররাজনীতি থাকতে হবে। যদিও এই ঘটনাটির সঙ্গে রাজনীতির কোনো সম্পর্ক নেই। সেদিন আমি শহিদ মিনারে গিয়েছিলাম। সেখানে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেছি। তবে ঝুম বৃষ্টির কারণে ক্যাফেটেরিয়ায় গিয়েছি। এটি একটি সাধারণ বিষয়। এটির সঙ্গে রাজনীতির কোনো সম্পর্ক নেই।