বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৪৩ অপরাহ্ন

জুলিও-রুমিয়েট

জুলিও-রুমিয়েট

প্রেমময় জীবনে কোনো দ্বন্দ্ব নেই, নেই পারিপার্শ্বিক পরিবেশের সঙ্গে সংগ্রামের বার্থতার যন্ত্রণা। রোমিও জুলিয়েটের জীবনে যে করুণ পরিণতি ঘটেছে; তার জন্যে তাদের দুই পরিবার ‘মনটেগু’ ও ‘ক্যাপিউলেট’। প্রভাব প্রতিপত্তিতে কেউ কম যায় না। কিন্তু দুই পরিবারের মধ্যেই তীব্র বিবাদ। সারাটা বছরই ঝগড়া, মারামারি লেগেই আছে।
ক্যাপিউলেট পরিবারের কন্যা জুলিয়েট। রুপের কোন তুলনা নেই। শান্ত স্বভাবের মেয়ে। অপরদিকে মন্টেগু পরিবারের সন্তান রোমিও পরিবারের সকলের চেয়ে আলাদা। একদিন দুজনের দেখা হয়। রূপে মুগ্ধ দুই তরুণ ও তরুণী প্রেমের বাঁধনে বাঁধা পড়ে যায়। কিন্তু এই প্রেম তো দুই পরিবারের কেউ স্বীকার করবে না। তাই চলে গোপন অভিসার। কিন্তু মিলনের পথে বাঁধা হয়ে দাঁড়ায় সামাজিক ও ধর্মীয় সংস্কার।
জুলিয়েটের বিবাহ স্থির হয় অন্য জায়গায়। অসহায় জুলিয়েট তার গুরু দার্শনিক লরেন্সের কাছে সাহায্য চায়। যেমন করেই হোক এই বিয়ে বন্ধ করতে হবে। লরেন্স তাকে এক শিশি ওষুধ দেয়। সেই ওষুধ এর প্রভাবে গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন হয়ে পড়বে জলিয়েট। মনে হবে মারা গেছে। সেভাবে থাকবে বিয়াল্লিশ ঘণ্টা। তাকে সমাধি দেওয়া হবে। এই ঘটনা জানবে শুধু রোমিও। যখন জুলিয়েটের ঘুম ভাঙবে দুজনে পালিয়ে যাবে।
বিয়ের রাতেই জুলিয়েটে সেই ওষুধ খায়, মৃত মনে করে সমস্ত প্রাসাদে কান্নার রোল ওঠে। বিয়ের সাজেই তাকে সমাধিস্থ করা হয়। দুর্ভাগ্যবশত লরেন্সের পাঠানো সংবাদ ঠিক সময়ে এসে পৌঁছায় না রোমিওর কাছে। জুলিয়েটের সংবাদ শুনে শোকে দুঃখে সকলের অগোচরে সমাধিক্ষেত্রে গিয়ে তীব্র বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করে। এদিকে জুলিয়েট জ্ঞান ফিরে আসে। প্রিয় তমের মৃত্যু দেখে নিজেকে ঠিক রাখতে পারে না। রোমিওর ছোরা তুলে নিয়ে নিজের বুকে বিঁধিয়ে দেয়।
তার মৃতদেহ লুটিয়ে পড়ে রোমিওর ওপর। রোমিও জুলিয়েট নাটকে প্রেমের দৃশ্যগুলো শেক্সপিয়রের কবিত্বগুণে দু:খময় হয়ে উঠেছে। ভাষার লাবণ্য আর মাধুর্য, নাটকীয়তার অসাধারণত্বের জন্য রোমিও জুলিয়েট যুগ যুগ ধরে মানুষের মন কেড়ে নিয়েছে।

 

শাফায়েত জামিল রাজীব

-সম্পাদক

একুশে টাইমস্ নিউজ মিডিয়া

Print Friendly, PDF & Email

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © 2021
Design By Rana