বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৩৭ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক, একুশে ডেস্ক: কিশোরগঞ্জ শহরের বড় বাজারস্থ জাহাঙ্গীরের মোড়ে-সরকার অনুমোদিত একটি লাইসেন্সধারী মদের দোকান রয়েছে। কিন্তু একটি বিশেষ মহলের ইশারা ও বিশেষ একটি সিন্ডিকেটের কারণে বিগত দুই মাসের অধিককাল যাবৎ লাইসেন্সধারী মদের দোকানটি বন্ধ রাখা হয়েছে। এবং এখন মদের সরবরাহ বন্ধ। ডিপোর মালিক, সে নিজেও সিন্ডিকেটের একজন। যদিও গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার নিয়ন্ত্রিত দর্শনার কেরু এন্ড কেরু কোম্পানী এই মদটি সারাদেশে বাজারজাত করে। আর আইন অনুযায়ী এই মদের ক্রেতা হলো-হিন্দু সম্প্রদায়ের লাইসেন্সধারী সেবনকারী ব্যক্তিবর্গ, হরিজন সম্প্রদায় ও চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র অনুযায়ী মুসলমান সম্প্রদায়ের কিছু ব্যক্তিবর্গ। পর্যবেক্ষণ ও অনুসন্ধানে যে বিষয়টি চোখে পড়েছে- সেটি হলো হরিজন সম্প্রদায়ের কতিপয় ব্যাক্তিবর্গ লাইসেন্সধারী ডিপো মালিকের কাছ থেকে ব্যাপক পরিমাণ মদ স্টক করে রাখে। অত:পর হরিজন কলোনিতে স্টক করে রাখা সেই মদ- চড়া মূল্যে বিক্রি হয়। যেহেতে ডিপোটি বন্ধ থাকে। এই সুযোগে সরকার নির্ধারিত একশ টাকার মদ কমপক্ষে তিনশ টাকায় বিক্রি হয়। এছাড়াও কিছু মাস্তান শ্রেণির লোক ডিপোর মালিককে ভয়ভীতি দেখিয়ে ব্যাপক পরিমাণ মদ আদায় করে। অত:পর সেই মদ হরিজন কলোনী ব্যবসায়ীদের নিকট নগদ টাকায় বিক্রি করে। এই কারণ দেখিয়ে ডিপোর মালিক উনার আসল মূলধন টিকিয়ে রাখার জন্য মদের মধ্যে বিভিন্ন ক্যামিকেল মিশ্রিত করে। এভাবে ডিপোর মালিক, হরিজন কলোনীর ব্যবসায়ীগণ ও মাস্তান শ্রেণির কিছু লোক মিলে একটি ত্রিমুখী সিন্ডিকেট তৈরী করেছে। এতে মাসের পর মাস মদ খোলা অবস্থায় থাকায়, মানুষের স্বাস্থ্যহানি ঘটছে। শুধু তাই নয়- সুযোগ বুঝে এখন হরিজন কলোনীতে ব্যাপক হারে চোলাই মদ তৈরী হচ্ছে এবং উচ্চ মূল্যে বিক্রি হচ্ছে। প্রতিদিন কমপক্ষে এক লক্ষ টাকার মদ তিন লক্ষ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এভাবে মাসে ৬০ লক্ষ টাকার ব্লাক মেইলিং বাণিজ্য সিন্ডিকেট গড়ে উঠেছে হচ্ছে। তাই পরিশেষে দৃষ্টি আকর্ষণ করছি-সরকারের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্তাব্যক্তিদের প্রতি ও জেলা প্রশাসনের প্রতি। উনারা যদি সজাগ থাকে, তবে ডিপোর মালিক সপ্তাহে ছয় দিনই দোকান খুলতে বাধ্য।
চলবে…