বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০১:২৭ অপরাহ্ন

বাবার এক টুকরো মাংস এনে দাও ছুঁয়ে দেখব

বাবার এক টুকরো মাংস এনে দাও ছুঁয়ে দেখব

‘আমার বাবার এক টুকরো মাংস এনে দাও। আমি ছুঁয়ে দেখব। টুকরোকেই বাবা মনে করে জানাজা করতে চাই।’ শুক্রবার বিকালে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে এক মানববন্ধনে অংশ নিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়ে একথা বলেন কলকাতায় নৃশংসভাবে খুন হওয়া ঝিনাইদহ-৪ আসনের এমপি আনোয়ারুল আজিম আনারের ছোট মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন। মানববন্ধনে তিনি আবারও বাবার হত্যার দৃষ্টান্তমূলক বিচার চেয়ে বলেছেন-এই মুহূর্তে বাবার মরদেহ দেশে আনাই প্রধান কাজ। তিনি বলেন, হত্যাকারীদের বিচারের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে আশ্বস্ত করেছেন।

মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন পৌর মেয়র আশরাফুল আলম। উপস্থিত ছিলেন নবনির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান শিবলী নোমানী, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মতিয়ার রহমান, ইউপি চেয়ারম্যান ওহিদুজ্জামান ওদু, উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সোহেল হোসেনসহ দলীয় নেতাকর্মী ও শত শত সাধারণ মানুষ। এ সময় অনেকেই কান্নায় ভেঙে পড়েন।

এমপি আনার কন্যা ডরিন কাঁদতে কাঁদতে বলেন, আজ যে জায়গায় আমি কথা বলছি একই স্থানে আমার বাবা অনেক প্রোগ্রাম করেছেন। আজ সবাই আছে শুধু দেখছি আমার বাবা নেই। আপনারা যারা আজ এখানে এসেছেন তারা কেউ ভেঙে পড়বেন না। আমরা এখানে বিচার চাইতে এসেছি। দেহে একবিন্দু রক্ত থাকা অবস্থায় বাবার হত্যার বিচার চাইব। ডরিন বলেন, কী অপরাধ করেছে আমার বাবা। পরিবারেও সময় ঠিকমতো দেয়নি। আজ তার এই করুণ পরিণতি হলো যে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর মরদেহ টুকরো টুকরো করে মসলাও মাখানো হয়েছে!

সাংবাদিকদের উদ্দেশে ডরিন বলেন, আজ অনেক সাংবাদিক ভাইয়েরা নিউজ করছেন। সে (বাবা) এই ব্যবসা করে, ওই ব্যবসা করে। আপনারা কি জানেন একটা সময়ে তিনি কেন ভারতে থাকতেন? ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল চারদলীয় জোটের সময় এভাবেই তাকে মারার পরিকল্পনা করেছিল। কিন্তু তখন তার হায়াত ছিল বলে আল্লাহ বাঁচিয়েছেন। জীবন বাঁচানোর জন্য তিনি ভারতে ১৪ বছর থেকেছেন। অনেকে আশ্রয় দিয়েছেন। তার নামে যে মামলাগুলোর কথা বলা হচ্ছে সেগুলোতে তিনি নির্দোষ প্রমাণিত হয়েছেন। আপনারা খোঁজ নিয়ে দেখবেন।

Print Friendly, PDF & Email

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © 2021
Design By Rana