বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৪৮ অপরাহ্ন
বৈষম্যমূলক কোটা আন্দোলন নিয়ে চলমান অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে সারাদেশ একঅস্থির সময় পার করছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মহোদয়া,বেয়াদবি নিবেন না -আপনাকে স্মরণ করিয়ে দিচ্ছি, আপনার পিতার হাতে গড়া ছাত্রসংগঠন ছাত্রলীগ ৫২এর ভাষা আন্দোলন ,৬২ এর শিক্ষাকমিশন বিরোধী ছাত্র আন্দোলন,৬৯এর গণঅভ্যুত্থান সহ ৭১ এর রক্তস্নাতক মহান মুক্তিযুদ্ধে ত্যাগ,তিতিক্ষা এবং রক্তদান ওআত্নত্যাগের বিরল ইতিহাস সৃষ্টি করেছিল। এমনকি ‘৯০এর স্বৈরাচার বিরোধী গন আন্দোলনেও গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা রাখে । ইতিহাস স্বাক্ষী দেয় – ছাত্রসমাজের এসব আন্দোলন -সংগ্রামে আইয়ুব -ইয়াহিয়া কিংবা স্বৈরাচার এরশাদের বুলেট এদেরকে দমাতে পারেনি ।৫২ -তে সালাম-বরকত ,৬৯ -এ শহীদ আসাদ কিংবা ৯০-এ শহীদ নূর হোসেন ,ডাঃ মিলন , সেলিম-দেলোয়ারদের রক্ত থেকে ফিনিক্স পাখির পালকের মতো লক্ষ-কোটি যোদ্ধা বারবার জেগে ওঠেছে।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মহোদয়া, কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রজীবনে বঙ্গবন্ধুর মতাদর্শ ও আর্দশকে ভালোবেসে লক্ষ কোটি বার ‘জয়বাংলা’শ্লোগান দিয়েছি। এতবার যদি সৃষ্টি কর্তার নাম জপ করতাম তাহলে বোধহ, উনার প্রিয় ও নিকটতম বান্দায় পরিনত হতাম।আজ সেই অধিকারে বলছি – আপনার এবং রাষ্ট্রযন্ত্রের রাইফেলধারী পাহারাদাররা যেভাবে কোমলমতি ছাত্রদের উপর নির্বিচারে গুলি চালিয়েছে । আর তাদের বুকের রক্তে পীচঢালা কালো পথে রক্তিম আভা ছড়িয়েছে।সেই দৃশ্য দেখে কষ্ট পেয়েছি, স্তব্ধ ও ব্যথিত হয়েছি। আর ছাত্রসমাজের এই যৌক্তিক দাবীকে দীর্ঘায়িত করলে অবশ্যই ছাত্রনেতৃত্ব স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি জানাত ও ছাত্রশিবিরের হাতে চলে যাবে। কারন এরা সুযোগ সন্ধানী।তাই নিয়ম তান্ত্রিক আলোচনার মাধ্যমে এই আন্দোলনের যৌক্তিক পরিসমাপ্তি চাই। অচিরেই বন্দিদশা থেকে মুক্তিদিন আন্দোলনকারী ছাত্রদের।
মাননীয় দেশনেত্রী , আপনাকে আবারও সর্তক করে দিচ্ছি – রাষ্ট্রযন্ত্রের ষড়যন্ত্রকারী আমলারাএবং রাষ্ট্রের রাইফেলধারী পাহারাদাররা আপনাকে জনবিচ্ছিন্ন করার চেষ্ঠায় লিপ্ত। এভাবে চলতে থাকলে আপনি হয়ত অচিরেই জনপ্রিয়তা হারাবেন এবং আপনার রাজনৈতিক দল আওয়ামীলীগ ধীরে ধীরে মুসলিমলীগের পথে হাটতে শুরু করবে। আপনাকে আনুরোধ করছি কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের নিহত ছাত্ররা মুগ্ধ , আবু সাইদ , ওয়াসিম, সবুজ , রুদ্রসেন প্রমুখ শত সহস্র কোমলপ্রানের দাবী মেনে নিয়ে – দেশেকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনুন । কারন ছাত্রসমাজ জাগ্রত পাথরশিলায় পরিনত হয়েছে ।
সম্পাদক,
একুশে টাইমস