বুধবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৪০ পূর্বাহ্ন
এবার ষড়যন্ত্রের নাটকের মোড় নিল অন্যদিকে। কর্নেল তাহেরের দীর্ঘদিনের প্রচেষ্টায় সেনাবাহিনীর মধ্যে বিশেষ করে চীনের পিপলস্ আর্মি’র মতো সেনাবাহিনী গঠন নিয়ে দেশব্যাপী আলোচনা চলছিল। মেধাবী তাহের অল্প সময়ের মধ্যেই সাধারণ সৈনিকদের মধ্যে বিপ্লবী সৈনিক সংস্থা’ নামে একটি আন্ডারগ্রাউন্ড সংগঠন করেছিল। তখন কর্নেল তাহের ছিলেন নবগঠিত জাসদের সহ-সভাপতি। তাহেরের অনুগত ‘বিপ্লবী সৈনিক সংস্থা’ ও ‘উর্দিধারী গণবাহিনী’ জিয়াকে বন্দী দশা থেকে মুক্ত করে। আবার ঐদিন আকস্মিকভাবে নাস্তার টেবিলে তাহেরের অনুগত বিপ্লবী সৈনিক সংস্থার সদস্যরা নাস্তার টেবিলে মেজর জেনারেল খালেদ মোশারফ- সহ লে: কর্নেল হায়দার ও লে: কর্নেল নাজমুল হুদাকে নির্বিচারে হত্যা করে। অন্যদিকে ১৪৬ ব্রিগেড কমান্ডার কর্নেল শাফায়েত জামিল বঙ্গভবন থেকে খুনি মেজর চক্রকে হটিয়ে নিজের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছিলেন। কিন্তু শাফায়েত জামিলের সাহস ও দৌরাত্ম্যের জন্য জন্য উনি প্রাণে বেঁচে যান। যদিও পায়ে চোট পান। কিন্তু পরিশেষে তাহের প্রণীত ১২ দফা নীতিমালা জিয়া সহ তার ফার্স্ট ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের কারো কাছে গ্রহণযোগ্য বলে বিবেচিত হয়নি। দূরত্ব সৃষ্টি হয় জিয়া বনাম তাহেরের মধ্যে। অবশেষে জিয়া সামরিক ট্রাইব্যুনালে কর্নেল তাহেরের মতো একজন সেক্টর কমান্ডারকে ফাঁসিতে ঝুলাতে কৃপণতা করেনি।
সম্পাদক, একুশে টাইমস্।