শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪, ১০:৪৭ পূর্বাহ্ন
টাকা নিয়েও অনুষ্ঠান করতে না যাওয়ায় বিশ্বাস ভঙ্গ, প্রতারণাসহ একাধিক মামলায় বাংলাদেশের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী মমতাজ বেগম এমপির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন ভারতের আদালত।
দেশে ফেরার পর ভারতের আদালতের রায় নিয়ে মুখ খুলেন মমতাজ। বুধবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে নিজের বক্তব্য তুলে ধরে একটি স্ট্যাটান দেন তিনি।
মমতাজ লেখেন- এ কথা সত্য যে অনেক বছর আগে ভারতের বহরমপুর কোর্টে আমার বিরুদ্ধে এক ব্যক্তি একটা মিথ্যা বানোয়াট মামলা করেন, যার মূল উদ্দেশ্য ছিল আমাকে ভয় দেখিয়ে কিছু টাকা হাতিয়ে নেওয়া। একই সঙ্গে ওই ব্যক্তি ছাড়া আমি যেন কারও মাধ্যমে ভারতে কোনো কনসার্ট করতে না পারি।
তিনি বলেন, কোনো ডকুমেন্ট ছাড়া ১৪ লাখ টাকা নেওয়ার একটি মিথ্যা মামলা উনি (শক্তি শঙ্কর বাগচী) সাজিয়েছেন, যার কোনো প্রমাণ এই ১৪–১৫ বছরে আদালতে দাখিল করতে পারেননি। এ বছর আমি দুবার আদালতে হাজির হই, কিন্তু দুঃখের বিষয়, মামলার বাদী দুবারই অসুস্থ বলে কোর্টে অনুপস্থিত থাকেন। তার মূল উদ্দেশ্য আমাকে হয়রানি করা। আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে দ্রুত এ মামলাটি যাতে শেষ হয়, বিজ্ঞ আদালতকে অনুরোধ করি কিন্তু আদালত শেষ যে তারিখটি দিয়েছিল ওই সময় আমার আগে থেকেই কানাডায় প্রোগ্রাম নেওয়া ছিল বিধায় উপস্থিত থাকতে পারিনি।
‘তবে আমি আদালতকে এ বিষয় অবহিত করি এবং পরবর্তী সময়ে একটা সময় চাইলে বিজ্ঞ আদালত সেটা গ্রহণ করে আমাকে সেপ্টেম্বরের ৮ তারিখ পুনরায় তারিখ দেন। আশা করি, আমি ৮ তারিখে হাজির হলে বিজ্ঞ আদালত একটা সিদ্ধান্ত নেবেন এবং পরবর্তী কী করণীয় তা জানতে পারব।’
মমতাজ আরও বলেন, জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে আমার বিরুদ্ধে অনেক ষড়যন্ত্র হচ্ছে। আপনারা সবাই আমার ওপর আল্লাহর ওয়াস্তে আস্থা ও বিশ্বাস রাখবেন এবং আমার জন্য দোয়া করবেন আমি যেন কারো ক্ষতি না করি। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
জানা গেছে, পশ্চিমবঙ্গে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে নিয়মিত অংশ নিতেন মমতাজ। ২০০৪ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন অনুষ্ঠানে গান গাওয়ার জন্য সেখানকার শক্তি শঙ্কর বাগচী নামে এক ইভেন্ট অর্গানাইজারের সঙ্গে গায়িকার লিখিত চুক্তি হয়। সেই মতো ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে বহরমপুরের একটি অনুষ্ঠানে প্রধান শিল্পী হিসেবে মমতাজকে প্রায় ১৪ লাখ রুপির বিনিময়ে চুক্তিবদ্ধ করেছিলেন উদ্যোক্তারা।