শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮:৫৯ পূর্বাহ্ন

ডেঙ্গু রোগীদের চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করা হোক

ডেঙ্গু রোগীদের চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করা হোক

প্রতিদিনই বাড়ছে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রোগী ও মৃতের সংখ্যা। ডেঙ্গু রোগীর চাপ বেড়েছে নগরীর হাসপাতালগুলোতে। রয়েছে চিকিৎসক ও নার্স সংকট। সব মিলিয়ে ডেঙ্গু পরিস্থিতি যখন ভয়াবহ তখন একশ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী ব্যস্ত নিজেদের পকেট ভারী করতে। চিকিৎসকরা ডেঙ্গু রোগীর চিকিৎসায় ডেক্সাট্রোজ নরমাল স্যালাইনের (ডিএনএস) ব্যবহার করে থাকেন। সাধারণত একটি স্যালাইনের মূল্য ১০০ টাকা। কিন্তু ফার্মেসিগুলোতে সেটি বিক্রি করা হচ্ছে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত। ফার্মেসিতে ডিএনএস থাকার পরও বেশি দামে বিক্রির জন্য ক্রেতাকে নেই বলে ফিরিয়ে দিচ্ছে। এভাবে ডেঙ্গুর প্রকোপকে কেন্দ্র করে ডিএনএস নিয়ে কৃত্রিম সংকট তৈরি করা হয়েছে। ফলে রোগীদের এ স্যালাইন কিনতে হচ্ছে অতিরিক্ত মূল্যে।
ফার্মেসিগুলোতে অভিযান পরিচালনা করেও এ দৌরাত্ম্য থামানো যাচ্ছে না। অভিযানে অনিয়ম ধরা পড়লে শাস্তির আওতায় আনা হচ্ছে। প্রকৃত ঘটনার চেয়ে ‘দোকানে স্যালাইন নেই’-এ বিষয়টি প্রচার বেশি হওয়ার সুযোগ নিচ্ছে একশ্রেণির মানুষ। ফার্মেসিগুলো দাম বাড়িয়ে ফেলে। এ কারণে ফার্মেসিগুলোতে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা অব্যাহত রাখতে হবে।  ডেঙ্গু রোগী বাড়তে থাকায় স্যালাইনের চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ কম বলেও দাবি করা হচ্ছে কোনো কোনো হাসপাতালে। সরকারি হাসপাতালগুলোতে সরবরাহ কিছুটা স্বাভাবিক থাকলেও বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগীর স্বজনদের একটি স্যালাইন জোগাড় করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। কোনো কারণে হাসপাতালে স্যালাইনের সংকট দেখা দিলে রোগী ব্যবস্থাপনা কঠিন হয়ে পড়বে, ডেঙ্গুতে মৃত্যুর ঝুঁকিও বাড়বে। ঘাটতি পূরণে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে। বাংলাদেশের ওষুধ রফতানি হচ্ছে বিশ্বের ১৪৭টি দেশে। এ পরিসংখ্যান গর্বের শুধু নয়, অহংকারেরও। কারণ যুক্তরাষ্ট্রসহ ইউরোপ-আমেরিকার দেশগুলোতেও বাংলাদেশের ওষুধ রফতানি হয়। ওষুধের মানের ব্যাপারে যাদের রক্ষণশীল ভূমিকা দুনিয়াজুড়েই প্রশংসিত। বাংলাদেশে মানসম্মত ওষুধ তৈরি হচ্ছে এবং ইউরোপ-আমেরিকার মানুষও বাংলাদেশের প্রতি আস্থা রাখছে এটি একটি আলোকিত দিক।

এদিকে কিছু অসাধু ব্যক্তি হুবহু ‘আসল’ মোড়কে গ্যাস্ট্রিক, ক্যানসার, ডায়াবেটিস, কিডনিসহ বিভিন্ন জটিল রোগের নকল ওষুধ বাজারে ছাড়া হচ্ছে। যা দেখে ভোক্তাদের আসল-নকল পরখ করা অনেকটাই দুঃসাধ্য। স্বনামধন্য এবং পরিচিত ওষুধ কোম্পানির ওষুধগুলোই নকল করা হয় বেশি। নকল ওষুধ সাধারণত রুগ্ন কারখানা বা ইউনানি-হারবালের মতো কারখানায় উৎপন্ন হয়। কারখানা থেকে কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে ঢাকায় চক্রের তালিকাভুক্ত কিছু ফার্মেসির কাছে পৌঁছানো হয় এসব ভেজাল ওষুধ। মিটফোর্ডকেন্দ্রিক কিছু অসাধু ফার্মেসি নকল ভেজাল চক্রের সঙ্গে জড়িত। সেখান থেকে সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ে এ ভেজাল ওষুধ। গ্রামগঞ্জে ক্রেতার হাতে পৌঁছে যাচ্ছে প্রাণঘাতী এসব নকল ওষুধ।

Print Friendly, PDF & Email

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © 2021
Design By Rana