আমাদের দেশের সাধারণ মানুষ এখন কোথায় যাবে, তাদের কী হবে? এসব এখন আর নতুন কোনো প্রশ্ন নয়। নতুন করে জানারও কিছু নয়। কারণ আমরা ইতিমধ্যে যেন জেনে গেছি, অতি সহজে অনেক টাকা-পয়সা নিয়ে আমরা কোথায়, কতদূর যেতে চাই এবং তার জন্য কি করতে হবে, কোথায় টাকা বিনিয়োগ করতে হবে।
আমাদের দেশের অতি সাধারণ থেকে অসাধারণ সব মানুষই লোভের বশবর্তী হয়ে যখন-তখন অনেক অস্বাভাবিক কাজ করে ফেলতে পারে। না হলে সেই একসময় উত্তরবঙ্গের কাজল ব্যাংক থেকে শুরু করে যুবক, ডেসটিনি ২০০০, ইউনি পে টু, ইভ্যালি, ই-অরেঞ্জ থেকে এই কয়েক দিন আগের এমটিএফই নামের যে তথাকথিত রহস্যময় কানাডিয়ান এমএলএম কোম্পানিটি আমাদের দেশসহ ভারত, শ্রীলঙ্কা, দক্ষিণ আফ্রিকা ইত্যাদি দেশ থেকে সাধারণ মানুষকে বোকা বানিয়ে অনলাইন ট্রেডিংয়ের মাধ্যমে হাজার হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে গেল, সেটা হয়তো সম্ভব হতো না।
আমাদের দেশ থেকে বলা হয় ১১ হাজার কোটি টাকা নিয়ে গেছে তথাকথিত এই এমটিএফই নামের আন্তর্জাতিক পর্যায়ের ভুয়া কোম্পানিটি। এটাও একটা সাধারণ আন্দাজের হিসাব। সঠিক কোনো হিসাব নয়। কত লাখ মানুষের অর্থ নাশের সঙ্গে সঙ্গে তাদের জীবনের শান্তি চলে গেছে, দিন-রাতের ঘুম হারাম হয়েছে, তারও কোনো সঠিক হিসাব পাওয়া যায় না।
আমরা পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত ছবি দেখেছি, টেলিভিশনে তাদের আহাজারিও শুনেছি। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। এখন পর্যন্ত কারোর ব্যাংক হিসাব থেকে এক টাকাও ফেরত পাননি কেউ।